রাজধানীর যাত্রাবাড়ী কাঠেরপুল এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে যাত্রাবাড়ী থানায় এ মামলা হয়।
মামলার বিবরণে পেট্রলবোমা হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে আরও ১৮ জন নেতার নাম উল্লেখ করা হয়। আর পরিকল্পন
এর আগে গত ২০ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়ার নির্দেশে মানুষ খুন করা হচ্ছে। তাকে হুকুমের আসামি করা যুক্তিযুক্ত। এরপর এই প্রথম অবরোধ সংশ্লিষ্ট কোনো মামলায় খালেদা জিয়াকে আসামি করা হলো।
গত শনিবার যাত্রাবাড়ী কাঠেরপুল এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এতে ২৮ জন দগ্ধ ও কয়েকজন আহত হয়। আহত ব্যক্তিদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।
কারা বাসে আগুন দিয়েছে সে ব্যাপারে গতকাল রাত পর্যন্ত পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তারও করা হয়নি। তবে গতকাল দুপুর ১২টার পর এ ঘটনায় মামলা হয়। যাত্রাবাড়ী থানার এসআই কে এম নুরুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৫ জানুয়ারি দেশব্যাপী অবরোধের ডাক দেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত দেশে অচলাবস্থা নিশ্চিত করার জন্য নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, উপদেষ্টা ও সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ, বরকতউল্লা বুলু, আমানউল্লাহ আমান মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা শিরিন সুলতানা, চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব হাবিবুন্নবী খান সোহেল, বিএনপির নেতা শরফুদ্দিন সফু, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল, কাইয়ুম কমিশনার ও লতিফসহ ১৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এজাহারে আরও বলা হয়, এসব নেতা এলাকাভিত্তিক নাশকতা করার জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কঠোর নির্দেশ দেন। ঢাকা মহানগর বিএনপির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদসহ যাত্রাবাড়ী এলাকার বিএনপির ৫০ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এজাহারে বলা হয়, এরাসহ আরও অজ্ঞাত ব্যক্তি এবং জামায়াত ও বিএনপির জোটের নেতা-কর্মীরা নৈরাজ্য, ভীতি সৃষ্টি ও পুড়িয়ে মানুষ মারার জন্য গাড়িতে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে অগ্নিসংযোগ করেন। এতে করে ৩১ জন নিরীহ মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। গাড়িটি পোড়ার কারণে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
0 comments:
Post a Comment