WHAT'S NEW?
Loading...

ঘুঙুর


শামসুদ্দোহা চৌধুরী


অবশেষে কবি মুজিবরের ধারণাটাই ঠিক হলো, উনি এসেছেন। উনি আসবেন-আসবেন বলে সুবর্ণগ্রামের বাতাসে গুঞ্জন চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। আমরা সে ধারণাটিকে নিছক অনুমান মনে করেই পাত্তা দিইনি। কিশোর বয়সে ঘর থেকে পালিয়ে যাওয়া লোকটি মানে আমাদের লোকমান মামা কলকাতা শহরের ঘিঞ্জি গলিতে হারমোনিয়ামের রিড

ে সুর তুলে গানের ওস্তাদ বনে যাবেন কখনো বা তবলার তেরে কেটে তাক্ ধ্বনিতে লম্বা আলখাল্লা গায়ে জড়িয়ে নর্তকীর মতো পায়ে নূপুর বেঁধে ধিংতা ধিংতা নাচবেন, এ ধরনের গল্পগুজবে আমরা চায়ের আসরে জম্প্যেস আডডায় মজেছি এ দৃশ্যতো হরদমই ঘটেছে সুবর্ণগ্রামের সিকিম আলীর চায়ের দোকানে। কেউ কেউ হয়তো ইতঃপূর্বে বা ইতোমধ্যে বলেও ফেলেছেন সুবর্ণগ্রামের প্রাচীন ইমারতের চওড়া রাস্তায় মেহগনি গাছের মতো লম্বা আলখাল্লা পরা একজন লোককে আপনমনে গুনগুনিয়ে গান গেয়ে যেতে দেখেছেন।


লোকমান মামাবিষয়ক এ সমস্ত প্যাচাল কার্তিকের হিমের কুয়াশার মতো দীর্ঘস্থায়ী হয় না। আমরা এও ধারণা করি হয়তো বা ঘরপালানো সুবর্ণগ্রামের সেই কিশোরটি কলকাতার ঘিঞ্জি গলিতে হারমোনিয়ামের রিডে হাত চালিয়ে হাকিমপুরী জর্দা দিয়ে ঠোঙ্গা ঠোঙ্গা পান চাবুরচুবুর শব্দে খেতে খেতে পানের রঙিন পিক ফেলে গলির দেয়ালে পানের নির্যাসের বিশ্রী আল্পনা সৃষ্টি করেছেন অথবা মগভর্তি চায়ের কাপে ফুড়ুত ফুড়–ত শব্দে চা খেতে খেতে জর্দাপানের ছোপ ফেলানো দাঁত বের করে হাসেন আবার শামশাদ এবং সুরাইয়া বেগমের অথবা গীতাবালি, মোহাম্মদ রফির গানে বেহুঁশ হয়ে উন্মাদের মতো নাচেন, এই সংসারত্যাগী উদাসী মানুষটি তো আসতেই পারেন বিনা নোটিশেই।



আমরা ফের আলোচনায় ডুবে যাই গানপাগলা লোকমান মামাকে নিয়ে। আমরা একটি নির্দিষ্ট সীমায় কখনো আড্ডা দিই না। গানপাগলা কয়েকজন লোককে সুবর্ণগ্রামের মানুষ প্রায়ই দেখে কমরেড শঙ্করের লেস -ফিতার দোকানে কখনো বা প্রাচীন পানামের শানবাঁধানো ঘাটে কখনো বা শাহি হাম্মামখানায়। তার পাশেই প্রাচীন শহর, লম্বা বুরুজ চকমিলানো বারান্দা। চিনামাটির খণ্ড বসানো চকমকি দেয়ালের পাশেই সুর্বণগ্রামের শেষ জমিদার শাহেদ কায়েসের বিশাল ইমারতের শাহি বৈঠকখানা। ছাদে ঝোলে বর্ণিল কাচের ঝাড়। দেয়ালে সাঁটানো মাইকেল এঞ্জেলো, রেমব্রান্টের কয়েকটি জগৎবিখ্যাত পেয়েন্টিং। দক্ষিণ পাশে লাগোয়া লিও নার্দো ভিঞ্চির চিরায়ত রহস্যাবৃত পেয়েন্টিং ‘মোনালিসা’ শাহেদ কায়েসের বিশাল জরাজীর্ণ বাড়িটিকে করেছে অতিপ্রাকৃত গল্পের মতো রহস্যময়।


একসময়ের মূল্যবান সেগুন কাঠের পালিশ করা চকচকে আলমিরায় শোভা পাচ্ছে তানপুরা, তবলা, হারমোনিয়াম, বেহালা, মৃদঙ্গ, খঞ্জনির মতো গানের সরঞ্জামাদি। একদণ্ডেই বুঝা যায় শাহেদ কায়েস লোকটি কাব্যসঙ্গীতের একজন আদর্শ সমঝদার। গায়েন, কবিদের তিনি যথেষ্ট তমিজ করেন। তার কাছে গায়েন, কবিদের আশরাফ-আতরাফ ভাগাভাগি করা যাবে না তাদের নন্দিত করাই শিল্প সাহিত্যের সমঝদারদের মূল কাজ। আমরা মানে কবি মুজিবর, কমরেড শঙ্কর যখন সুবর্ণগ্রামের শাহি হাম্মামখানার তীরে বসে থাকি তখন কার্তিকের হিম সন্ধ্যায় কুয়াশা জেঁকে বসতে শুরু করেছে। আমরা তখন সন্ধ্যার কুয়াশার জালি জালি সন্ধ্যামালার দিকে তাকিয়ে থাকি। আমাদের সামনে সুবর্ণগ্রামের হাম্মামখানা, ইঁদারা, বুরুজ, প্রাচীন প্রাসাদের শ্যাওলামাখানো ইমারত থেকে ঝুরঝুর করে ঝরে পড়ে ইতিহাস। আমরা যেন বেলা-অবেলা-কালবেলার সাক্ষী। চুপি চুপি বলে যায় হিমেল বাতাস। আমাদের সামনে অতীতের সাক্ষী। মনে হয় এই যে, আমরা কয়েকজন চুপ করে মহাকালের আলোকবর্ষ গতিমালার মাঝে ঘাপটি মেরে বসে আছি, সবকিছুই তুচ্ছ-অসাড়। আমরা কথা বলি না কিন্তু কখন অবচেতন মনে হাঁটতে থাকি আমরা কেউ টের পাই না।


একটি অদৃশ্য অতিপ্রাকৃত গল্পের নায়িকার মাথার লাক্ষারসের গন্ধ শুঁকতে আমরা কয়েকজন ক্রমশই হেঁটে যাই এমনকি একসময় আমরা পৌঁছে যাই সুর্র্বগ্রামের শেষ জমিদার শাহেদ কায়েসের বিশাল ইমারতের কাছে। আমরা দিব্যি শুনতে পাচ্ছি অথবা অনুধাবন করতে চেষ্টা করছি মহাকালের জমাটবাঁধা ঘন সবুজ শ্যাওলার পলেস্তরায় ঢাকা সুরম্য ইমারত থেকে ভেসে আসছে শায়ের, স্পটতই অনুধাবন করি অথবা প্রাণপণে পরানের গহিন থেকে হৃদয়ঙ্গম করছি ওস্তাদ আলী আকবর, ওস্তাদ আমজাদ খাঁ অথবা বিশ্ববিশ্রুত রবি শঙ্করের সেতারের মূর্ছনা স্বচ্ছ জলধারার মতো কলকল শব্দে ভেসে আসছে। বাহ চমৎকার। আমরা তখন জমিদার শাহেদ কায়েসের সিংহদরজায় উঁকি দিয়ে দেখি, পুরোপুরি দেখা যায় না কিন্তু আমি এবং মুক্তিযোদ্ধা মোজম দেখার চেষ্টা করি। অনুমান, অনুধাবন ঠিকই জমিদার শাহেদ কায়েসের দহলিজে বসেছে রাগ সঙ্গীতের মহফিল। সেখানে রাগ সঙ্গীতজ্ঞ গুরু কারা উপস্থিত আছেন এ মুহূর্তে না বুঝতে পারলেও মুক্তিযোদ্ধা মোজম ঠিকই চিনতে পেরেছিল যে লোকটির কথা আমরা জনাকয়েক লোক সুবর্ণগ্রামের মোড়ের সিকিম আলী চাচার দোকানে গরুর দুধের চা খেতে খেতে প্রায়শই আলাপ করি অথবা স্মৃতিচারণ করি সেই কিশোর বয়সের হারিয়ে যাওয়া লোকমান মামাই হয়তোবা। ঋজু দেহের গড়ন, লম্বা আলখেল্লায় এবং ঝাঁকড়া বাবরির এলোমেলো চুলের ফাঁকে সুরমামাখা চোখ, টিকালো নাকের আশপাশে ঠাঁই নিয়েছে ছোটখাটো গুল্মের মতো একগুচ্ছ দাড়ি। দু’হাতের দশটি আঙুলেই শোভা পাচ্ছে সম্ভবত পোকরাজ পাথরের অঙ্গুরীয়। তাহলে আমাদের সেই কৈশোরের হারিয়ে যাওয়া কলকাতার ঘিঞ্জি গলির বাইজি পাড়ার গায়েন, ওস্তাদ লোকমান মিয়া এখানে সঙ্গীতের এই মহফিলে দাওয়াতি মেহমান। দণ্ডকয়েক পরেই জমিদার শাহেদ কায়েসের দেংলিজের সিংহ দরওয়াজা ক্যাচর শব্দে খুলে গেল।


একজন প্রহরী আমাদের সাদর সম্ভাষণ জানিয়ে বলল, ‘ভেতরে আসুন, কর্তাবাবু আপনাদের অপেক্ষায় মহফিলেই অবস্থান করছেন, কলকাতার বিখ্যাত রুপা বাইজির নাচ-গানের মহফিল নিশ্চয় ভালো লাগবে।’ আমরা যেন এই জবাবটি শোনার জন্যই হয়তো বা অপেক্ষায় ছিলাম। দণ্ড কয়েক পরেই আমরা অনুভব করলাম সঙ্গীতের এই মহফিলে আমরা শুধু জনাকয়েক লোকই নই। মখমলের গদি আঁটা চেয়ারে সুবর্ণগ্রামের বেশ কয়েকজন সুধীই মহফিল উপভোগ করতে এসেছেন। আবহাওয়াটা মন্দ ছিল না। না শীত না গরম এমনিই এক আবহাওয়া দেহলিজের গবাক্ষ গলে ভেতরে আসছিল। আমাদের দেখে মহফিলের দর্শক শ্রোতারা ঘাড় বাঁকিয়ে এক পলক তাকালেন, এ পর্যন্তই। সুগন্ধ গোলাপজল, জাফরান, আতরের মৌতাত গন্ধে ভুরভুর করছিল মহফিলের প্রাঙ্গণ। প্রকাণ্ড লাল গালিচায় বসে আছেন যন্ত্রীরা। এস্রাজ, ভায়োলিন, মৃদঙ্গের তানপুরার সুর লহরি এবং তবলার তেরে কেটে তাক্ ধ্বনিতে মশগুল আসর। একটি মেহগনি কাঠের সুদৃশ্য পালঙ্কে উপবেশনে আছেন জমিদার শাহেদ কায়েস।


আমাদের বিস্মিত করে ওস্তাদ লোকমান মিয়া তবলার তেড়ে কাট ধ্বনিতে নেচে উঠলেন। আমরা মীরা বাই, জদ্দন বাইয়ের কথা শুনেছি। তাদের নৃত্য-গীত না দেখলে এবং না শুনলে কেউ বুঝতেই পারবে না কত আশরাফি ঘরানার শিল্পী ওরা। তো রুপা বাইয়ের কথা যে একেবারেই শুনিনি তা বলা ঠিক হবে না। মাঝে মধ্যেই দখিনা বাতাসের ঝিরিঝিরি ঐকতানে ভাবুকরা যেমন বকুল, হাস্নাহেনা ফুলের সৌরভে মাতোয়ার হন ঠিক তেমনি সুবর্ণগ্রামের গানপাগলা বোহেমিয়ান লোকমান আমার বদৌলতে রুপা বাইজির কথা কখনো কখনো সুবর্ণগ্রামের বাতাস সরগরম করত। এই সরগরম করা আসরের লোকজন ছিলাম আমরা মানে কবি মুজিবর, মোজম এবং কমরেড শঙ্কর। তো লোকমান মামা হঠাৎ রুপা বাইকে নিয়ে সশরীরে সুবর্ণগ্রামের সামন্ত শায়েদ কায়েসের মহফিলে তশরিফ আনবেন তা ভেবে আমরা বিস্মিতই হই। কবি মুজিবুর সে মুহূর্তে সঙ্গীতের মহফিলে যুৎসুই আসন নিয়ে বসার জন্য এদিক সেদিকে আঁকুপাঁকু হয়ে তাকাচ্ছিল। ভাবখানা এই সঙ্গীত এবং নূপুরের নিক্বণ ধ্বনি তো গভীর রাতেই খোলে, রাত যত গভীর এস্রাজ, বেহালা, তানপুরা, মৃদঙ্গের বোল, কাহারবা তালে তো স্বয়ং হাফিজ, ওমর খৈয়ামের রুবায়েতের ঝর্না নামে। মির্জা মুহাম্মদ গালিবের শায়ের শুনে বৃদ্ধ বাদশাহ বাহাদুর শাহের চোখ ঢুলুঢুলুর মতো কবি মুজিবরের চোখ ঢুলুঢুলু হবে নিদেনপক্ষে গা শির শির করবে অথবা রুপা বাইজির মুখে পুরনো দিনের শামশাদ, সুরাইয়া, গীতাবালির গান শুনে কবি মুজিবুর লম্বা পাজামাখানি দু’হাতে ধরে গান ও নৃত্যের ঠমকে চিৎকার করে উঠবে ‘লা জবাব-লা জবাব।’ এ ধরনের পরিবেশ পরিস্থিতিতে নিমগ্ন হওয়ার বাসনায় প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কবি মুজিবর।



তো আমরা মানে আমি, মুক্তিযোদ্ধা মোজম যে সঙ্গীতের প্রতি মোহ নেই তা তো বলা যাবে না। সন্ধ্যায় আমি ও মোজম কবি মুজিবর যখন পানামের রাজপথে হাঁটি সে সময়ে সন্ধ্যার প্রশান্ত ছায়ায় আমরা দ্রুত ধাবিত হতে থাকি পরানের গহিন সীমানায়। সে সময়ে পথ থাকে প্রায়ই ফাঁকা। টুপটাপ ঝরে পড়ে নিশির শিশির। মোজম পাগলা অন করে দেয় মোবাইল। মোবাইলের সঞ্চিত গানভাণ্ডার মানে সেই ‘মোগলে আজমের’ মধুবালার অভিনয়ে সেই বিখ্যাত গান ‘পেয়ার কেয়া তো ডর না কিউ।’ মোজম তখন তার কাপিলা গাছের মতো শরীরটাকে হেলিয়ে দুলিয়ে দুহাতের আঙুলগুলোকে নৃত্যের মুদ্রায় ছন্দায়িত করে চোখ, মুখ, ঠোঁট কাঁপিয়ে সেই যে পাগলপারা নাচ। আমরাও সেই রহস্য নগরীর রাস্তায় নৃত্য থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখতে পারি না। আমি ও মুজিবর পাছার লুঙ্গি গোছকাছা দিয়ে তিন সঙ্গীতপ্রিয় বৈশাখের বানকুড়ালির ঝরা পাতার মতো উদ্দাম হয়ে তাতা থৈ ধ্বনি তুলে পাগলা নাচ নাচতে থাকি ঠিক বদরপুর ওরশের লেংটা মেলার সাধুদের মতো। ঠিক সে মুহূর্তে আমার সঙ্গীতবিষয়ক অস্থির চিন্তার দ্রুত পতন। সুবর্ণগ্রামের জমিদার শাহেদ কায়েসের দরবার হলে সঙ্গীতের মহফিল জমে উঠেছে। তবলার তেড়ে কাট ধ্বনি এবং বেহালার ছড়ে উথলে পড়ছে সঙ্গীতের মোহময় আলন্দরিক শব্দগুচ্ছ। লোকমান আমার চোখের ভ্রু কাঁপছে। ঘুঙুরের তালে তালে রুপা বাইজির মেদবিহীন শরীর জিংলাপোড়া সাপের মতো এঁকেবেঁকে কেঁপে উঠছে।



আমার চোখে তখন সুবর্ণগ্রামের জমাট শ্যাওলার আস্তরণে বন্দী লোনা ইটের রমণীরা খিলখিল করে হেসে উঠছে। মহফিলে তখন পিনপতন নিস্তব্ধতা। চার দিকের অপ্সররা সুরমামাখা টানা আঁখি নিয়ে গবাক্ষ পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। রাত গভীর। জমজমাট সঙ্গীত মহফিলে কে যেন ছিটিয়ে দিয়ে গেল সুগন্ধি গোলাপজল। কী মোহময় পরিবেশ। অনাবিল প্রশান্তি। সুগন্ধি গোলাবজল, আতর-মাশক, জাফরানের গন্ধে বিভোর প্রকৃতি। ঝুমুর ঝুমুর ছন্দে রুপা বাইজির পাগলপারা গান ‘হাওয়া মে উড়তা যাবে মেরা লাল দোপাট্টা মলমল ও ঝি।’ মুহূর্তে কে যেন চিৎকার করে উঠল। কে এমন কমবখ্ত, হায়ওয়ান সঙ্গীতের এই মাতাল সমীরণকে ঝেটিয়ে বিদায় করে দিতে চায়। আচমকা এই বেয়াদবি আহ্বানে বিরক্ত সবাই। চোখে মুখে জমাট বিরক্তির চিহ্ন নিয়ে সবাই চিৎকার করে উঠল কে আপনি, মহফিল স্তব্ধ করে দেয়ার আপনি কে? চেয়ে দেখি পানামের রাস্তায় পাগলা নাচের সেই নর্তক মুক্তিযোদ্ধা মোজম। চাদর গায়ে দেয়া মোজম হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে বলে ওঠে ‘গোস্তাকি মাফ করবেন জনাব। রুপা বাইয়ের নাচের মুদ্রা ঠিক হচ্ছে না।



এ কি বলছে পাষণ্ড। কলকাতার নামীদামি বাইজির কণ্ঠে তখন বিষোদগার। আপনি কে? কী বা আপনার পরিচয়, নাচের এন্তেজাম বোঝার আপনিই বা কে? মোজমের গলে প্রতিবাদী স্বর ফেটে পড়ে। চিৎকার করে বলে ওঠে ‘যে পাঁচজোড়া ঘুঙুর পরে উনি নৃত্যমুদ্রা ফুটিয়ে তুলছেন, সে দু’ পায়ে নেই, বাম পায়ে একজোড়া ঘুঙুরের কমতি আছে, সে জন্যই গানের সাথে নৃত্যের সহবত হচ্ছে না।’
মুক্তিযোদ্ধা মোজমের ধারণাটি ছিল সঠিক। গুনে দেখা গেল বাম পায়ের গোড়ালিতে ঠিকই এক জোড়া ঘুঙুরের কমতি আছে।
কলকাতার রুপা বাইজিকে আর কখনো সুবর্ণগ্রামের জমিদারদের জলসা ঘরে দেখা যায়নি।


 

0 comments:

Post a Comment