WHAT'S NEW?
Loading...

মালয়েশিয়ার পথে বাংলাদেশ


আলফাজ আনাম


 


বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন মহলের মালয়েশিয়ার প্রতি বিশেষ আগ্রহ আছে। সরকারের মন্ত্রী ও এমপিরা প্রায়ই বলেন, বাংলাদেশকে তারা মালয়েশিয়া বানাবেন। একই সাথে প্রধানমন্ত্রীকে তুলনা করছেন মাহাথির মোহাম্মদের সাথে। আবার এমন গুজবও আছে, সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অনেকেই মালয়েশিয়া বাড়ি করেছেন। সময়-সুযোগমতো দেশটিতে পাড়ি জমাবেন। সরকারের এ প্রভাবশালীরা যদি এ দেশ ছেড়ে যান তাহলে তারা যাবেন আকাশপথে, সাথে মন্ত্রী-এমপিদের জন্য বিশেষ লাল পাসপোর্ট হয়তো থাকবে। না হলে দীর্ঘমেয়াদি ভিসাযুক্ত সবুজ পাসপোর্ট তো থাকবেই। উড়োজাহাজ থেকে নেমে তারা চলে যাবেন সেকেন্ড হোমের আপন নিবাসে। মালয়েশিয়ায় তাদের হয়তো দেখা যাবে লঙ্কাভির সমুদ্রসৈকতে কিংবা গ্যাংটিনের ক্যাসিনোতে। কুয়ালালামপুরের টুইন টাওয়ারের শপিংমলগুলোতে

পরিবার নিয়ে কেনাকাটাতেও ব্যস্ত থাকবেন। রাস্তার পাশে চমৎকার রেস্তোরাঁগুলোতে তাদের আহার চলবে। এরপর ফিরে আসবেন নিজের বাড়িতে। হাতে যথেষ্ট পরিমাণ ডলার বা রিঙ্গিত থাকলে মালয়েশিয়ার প্রতি এই বিশেষ আকর্ষণ থাকাটাই তাদের জন্য স্বাভাবিক।



এসব প্রভাবশালীর চেয়ে দুর্নিবার মালয়েশিয়া আকর্ষণ পেয়ে বসেছে এ দেশের কিছু গরিব ও অভাবী মানুষের মধ্যে। তারা মালয়েশিয়া যেতে চান ভালোভাবে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার জন্য। তাদের হাতে নেই কোনো পাসপোর্ট বা ভিসা। অবশ্য সেসবের তোয়াক্কা তারা করেন না। তাদের আছে একটিমাত্র জীবন। সে জীবন বাজি রেখে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় চড়ে সমুদ্র পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করেছেন। গ্রামের গরিব মানুষ যাদের হয়তো সামান্য জমি বা ভিটেমাটি ছাড়া কিছু নেই তারাও শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে দালালদের হাতে তুলে দিয়ে মালয়েশিয়ার পথে ছুটছেন।



এই অদম্য যাত্রায় অনেকে হারিয়েছেন জীবন। কারণ মাঝ সমুদ্রে শেষ হয়ে যাচ্ছে খাবার ও পানি। ফলে কুকুর-বেড়ালের চেয়ে নিকৃষ্টতমভাবে বেঁচে থাকার জন্য নিজেরা নৌকার মধ্যে মারামারিতে লিপ্ত হয়েছেন। নিজে যাতে কোনোমতে খাবার নিয়ে বেঁচে থাকতে পারেন সে জন্য অন্যদের ছুড়ে ফেলছেন সমুদ্রে। কিংবা পিটিয়ে মেরে ফেলছেন। কেমন ছিল তাদের নির্মম অভিজ্ঞতা এএফপির এক রিপোর্টে তা উঠে এসেছে। মানবপাচারকারীদের অপহরণের শিকার হতভাগ্য ব্যক্তিদের একজন ১৪ বছরের কিশোর বাংলাদেশী আফসার উদ্দিন। অপহরণের পর থাইল্যান্ড অভিমুখে এক নৌকায় জোর করে তুলে দেয়া হয় তাকে। এরপর কয়েক সপ্তাহের দুর্গম সাগরযাত্রা। গত শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ার আচেহ উপকূলে ডুবতে বসা নৌকা থেকে জেলেদের সহায়তায় উদ্ধার হওয়া ৭০০ বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গার মধ্যে ছিল কিশোর আফসার উদ্দিনও। উদ্ধার হওয়ার পর সুমাত্রা দ্বীপের উত্তর-পূর্ব উপকূলে লাঙ্গসা শহরের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে সে শোনাচ্ছিল তার ওই রোমহর্ষক বর্ণনা।


t: auto;" src="http://www.onnodiganta.com/contents/uploaded/janu15/937933-01-02.jpg" alt="" width="634" height="422" />
প্রায় দুই মাস দুর্গম সাগরযাত্রায় ভেসে থেকে বেঁচে যাওয়া আফসারের আকুতি ছিল, ‘আমি আমার বাড়িতে ফিরতে চাই। আমি আমার মায়ের কাছে যেতে চাই।’ প্রায় হাড্ডিসার কিশোর আফসার কান্নায় ভেঙে পড়ে এএফপির সংবাদদাতাকে জানায়, বাংলাদেশের দক্ষিণের একটি জেলা থেকে এনে টেকনাফে একটি নৌকায় পাচারকারীদের হাতে তুলে দেয়া হয় তাকে। গভীর সাগরে কয়েক সপ্তাহ কাটানোর পর গত সপ্তাহে এর চালকেরা অন্য নৌযানে পালিয়ে যায়। নৌকা ভাসতে ভাসতে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মাঝামাঝি সাগর এলাকায় গেলে উভয় দেশের নৌবাহিনী তাদের উপকূলে ভিড়তে বাধা দেয়।



আফসার জানায়, এরই মধ্যে নৌকায় খাবার ও পানির মজুদও প্রায় ফুরিয়ে আসে। এ নিয়ে সাগরের মধ্যেই শুরু হয় বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে ভয়াবহ মারামারি। এ সময় অনেককে পানিতে ছুড়ে ফেলা হয়। কাউকে বাধ্য করা হয় ঝাঁপ দিতে। এ অবস্থায় নৌকা যখন ডোবার পথে, তখন তা দেখে ইন্দোনেশিয়ার জেলেরা সাহায্যের হাত বাড়ায়। তারা একে একে তাদের নৌকায় তুলতে থাকেন হাবুডুবু খেতে থাকা মানুষদের।



আফসার জানায়, তার সামনে মেরে ফেলা হয়েছে ছোট চাচা মাইনুদ্দিন (১৬) ও আরেক স্বজন নবী হোসেনকে (১৮)। নবীকে তার মতোই নৌকায় তুলে দেয়া হয়েছিল। মাইনুদ্দিন আরো কিছুটা খাবার চেয়েছিল। এটাই ছিল তার অপরাধ। চালকেরা তাকে পেটানো শুরু করে। নবী এগিয়ে যান। তখন তাদের দু’জনকেই ওরা সাগরে ফেলে দেয়। আফসার বলে, ‘তারা বাঁচাও, বাঁচাও বলে চিৎকার করছিলেন। তা শুনেও আমরা কিছুই করতে পারিনি। আমি বয়সে ছোট। চালকদের ঠেকাতে পারিনি। একসময় প্রাণে বাঁচতে আমিও ঝাঁপ দিই। আমার মনে হয়, নৌকায় ১০০ জনকেই মেরে ফেলা হয়েছে। পরে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়েছে তাদের লাশগুলো।’



শুধু আফসার নয়, এমন নির্মম অভিজ্ঞতা হয়েছে কাজের সন্ধানে সাগর পাড়ি দেয়া শত শত বাংলাদেশীর। এর মধ্যে কতজন যে সাগরে লাশ হয়ে ভেসে গেছেন তার কোনো হিসাব নেই। ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকায় গাদাগাদি করে যাওয়া এই বাংলাদেশীদের নৌকায় সহযাত্রী হয়েছেন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমরা। রাষ্ট্রবিহীন এ মানুষগুলো মিয়ানমার সরকারের নির্যাতন আর গণহত্যা থেকে বাঁচার জন্য সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ভিনদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। আগেও তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে অস্বীকার করছে। এখন মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া আশ্রয় দিচ্ছে না। রাষ্ট্রবিহীন মানুষগুলোর নিয়তি যেন হয়ে উঠেছে সাগরে ক্ষুধা- তৃষ্ণায় মৃত্যুবরণ করা। লাশ হয়ে সমুদ্রের পানিতে ভেসে যাওয়া।



কিন্তু তাদের সহযাত্রী কেন বাংলাদেশের মানুষেরা হচ্ছে? আসলে বাংলাদেশের মানুষের রাষ্ট্রীয় পরিচয় থাকলেও রোহিঙ্গাদের জীবনযাপনের সাথে তাদের খুব বেশি পার্থক্য নেই। ভালোভাবে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা নেই। ফলে তারাও অকূল সমুদ্রে ভাসিয়েছেন জীবনতরী। নৌকায় ভাসমান এই মানুষেরা যেন দাস প্রথার কথা মনে করিয়ে দেয়। আজকে মালয়েশিয়া এই মানুষদের আশ্রয় দিতে অস্বীকার করছে। কিন্তু দেশটির অট্টালিকা, সুপার মার্কেটগুলো এ দেশের শ্রমিকেরা তৈরি করেছে। পাহাড়ি জঙ্গল কেটে পাম বাগান তৈরি করেছে। আধুনিক মানয়েশিয়া গড়ার ক্ষেত্রে এ দেশের শ্রমিকদের অবদান কোনো অংশে কম নয়।


দাসের জীবনের চেয়ে এদের জীবনের দাম এখন কমে গেছে। ইন্দোনেশিয়া সরকার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির জেলেরা যেন তাদের কোনো প্রকার আশ্রয় ও খাবার না দেয়। অর্থাৎ খাবার আর পানির অভাবে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করা হচ্ছে। আমরাও রোহিঙ্গাদের সাথে এমন আচরণ করেছিলাম। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস হচ্ছে, আমাদের দেশের নাগরিকেরা আজ একই অবস্থার মুখে। কিন্তু আমাদের শাসকদের তাতে লজ্জা হয় না।



ভিনদেশের উদ্দেশ্যে এসব মানুষের যাত্রার জন্য দায়ী করা হচ্ছে মানবপাচারকারীদের। যারা ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কর্মহীন মানুষগুলোকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় তুলে দিচ্ছে। মানবপাচারের অভিযোগে কয়েকজনকে র‌্যাব ক্রসফায়ারে হত্যা করেছে। শুধু পাচারকারীদের কারণেই কী শত শত মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছে? কারা এদের নিয়ে যাচ্ছে এ প্রশ্ন করার সাথে আমাদের এ প্রশ্নও করতে হবে কেন এভাবে দেশ ছেড়ে এরা চলে যেতে চায়? বাস্তবতা হচ্ছে মানুষ এ দেশে কাজের সুযোগ পাচ্ছে না। ভালোভাবে খেতে পারছে না। পরিবারের সদস্যদের অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্ট-গ্লানি সহ্য করতে পারছে না বলে তারা বিদেশ যাওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছে।



একসময় বাংলাদেশের মানুষের কাজের সন্ধানে যাওয়ার প্রধান গন্তব্য ছিল মধ্যপ্রাচ্য। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ার পথ ধীরে ধীরে রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। ইরাক ও লিবিয়ার মতো বড় দু’টি দেশে এখন আর কোনো শ্রমিক পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। লিবিয়ায় আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ব্যস্ত থাকতে হয় দিল্লি আর ওয়াশিংটনকে সামলাতে। অর্থনৈতিক কূটনীতির নানা কথা বলা হলেও দেশের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো ভূমিকা আছে কি না তা নিয়ে আলাদা গবেষণার প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের মন্ত্রীরা প্রায়ই বলেন, এ দেশকে নাকি মধ্যম আয়ের দেশ বানাবেন। বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে মধ্যম আয়ের দেশকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ আর নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ। নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের মধ্যে রয়েছে ভুটান, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলো। আর উচ্চমধ্যম আয়ের দেশের মধ্যে রয়েছে মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, লেবাননের মতো দেশগুলো। উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ তো দূরে থাক নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার জন্য আমাদের আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। যেদিন বাংলাদেশ থেকে মানুষ কাজের সন্ধানে এভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে বিদেশ যাওয়া বন্ধ করবে সেদিন আমরা বুঝব সত্যিই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।


মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আমরা যেসব দেশের নাম দেখছি এসব দেশ থেকে কাজের সন্ধানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে এভাবে দল বেঁধে বিদেশ যায় না। ইন্দোনেশিয়া থেকে এর চেয়েও কম ঝুঁকি নিয়ে উন্নত দেশ অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া যায়। কিন্তু ইন্দোনেশিয়া বা মালয়েশিয়ার লোক এভাবে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে এমন খবর খুব কমই আমরা পাই।



দুর্ভাগ্য হচ্ছে, এ দেশের সরকারের মন্ত্রী আর এমপিদের আত্মতৃপ্তির শেষ নেই। দেশের মানুষ যখন দু’মুঠো খাওয়ার আশায় সমুদ্রে ভাসছে, নিজের আর পরিবারের সদস্যদের খাবারের নিশ্চয়তার জন্য থাইল্যান্ড বা মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পথে সাগরে লাশ হয়েছেন। যে দেশের মানুষের গণকবর আবিষ্কৃত হয়েছে থাইল্যান্ডের জঙ্গলে। যে দেশের মানুষের কঙ্কালসার ছবিগুলো বিশ্বের সবচেয়ে প্রচারিত সংবাদপত্র আর টেলিভিশনে দেখানো হচ্ছে সে দেশের অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করছেন এ দেশের মানুষ সুখেই আছে। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপে ১৬ মে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি সুখী মানুষের দেশ। এই দেশটি মোটামুটি ভালো একটি অবস্থানে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালের পর দেশে কোনো দারিদ্র্যই থাকবে না। দেশের মানুষ সুখে থাক বা না থাক অর্থমন্ত্রী যে সুখে আছেন তা নিশ্চিত করে বলা যায়।
মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরাও অর্থমন্ত্রীর মতো সুখে আছেন।


শুরুতেই বলেছি সরকারের মন্ত্রীরা বাংলাদেশকে কিভাবে মালয়েশিয়া বানানো যায় সে স্বপ্ন দেখছেন। মালয়েশিয়াকে তাদের কেন ভালো লাগে তার কারণ বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি ১৬ মে শেখ হাসিনার ৩৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনায় বলেছেন ‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তবে বেশি গণতন্ত্রে আমরা বিশ্বাস করি না। মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদ যে পথে এগিয়ে গেছেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনাও সে পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই গণতন্ত্র আমরা মেনে চলব।’ (যুগান্তর ১৭ মে ২০১৫) মালয়েশিয়ায় বিরোধী দলের নেতার বিরুদ্ধে সমকামিতার অভিযোগ এনে বছরের পর বছর কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। বিরোধী রাজনীতি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। মাহাথির মোহাম্মদ তার এক সময়ের ডেপুটির ওপর নিপীড়ন চালিয়েছেন। সর্বশেষ তাকে নতুন করে পাঁচ বছরের জেল দেয়া হয়েছে। মালয়েশিয়ার ক্ষমতাসীনেরা বছরের পর বছর দেশ শাসন করছে।


বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনেরা মালয়েশিয়ার এই রাজনীতি চালু করার স্বপ্ন দেখছেন। এই স্বপ্ন হচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকার স্বপ্ন। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুরোপুরিভাবে মালয়েশিয়ার পথে আছে। মনে রাখতে হবে স্বপ্ন দেখার জন্য কাজ করতে হয় না। যেমন অর্থমন্ত্রী চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পারছেন দেশের মানুষ কতই না মহা সুখে আছেন। অর্থমন্ত্রী দাবি করতে পারেন বাংলাদেশ এখন মালয়েশিয়ার চেয়েও একধাপ এগিয়ে আছে।



 

0 comments:

Post a Comment