মুনীর তৌসিফ
হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল ঢেঁকুর দমনে সহায়তা করার জন্য
আমাদের দু’টি উপায় জানিয়েছে।
১. গিলে খাওয়া বায়ুর পরিমাণ কমিয়ে দিন
ধূমপ
ান বন্ধ করুন। চুইংগাম এড়িয়ে চলুন। এর ফলে মুখ দিয়ে বায়ু গিলে খাওয়ার পরিমাণ কমা নিশ্চিত হবে। কিছু কিছু খাবার ও পানীয় আছে যেগুলোর সাথে বায়ু শরীরে প্রবেশ করে। যেমন বিয়ার, যেসব পানীয়ের ছিপি খুললে হিস হিস শব্দ করে এবং চটকান বা ফেটান ফল ও মিষ্টি। খাওয়ার পর একটু হাঁটুন। খাওয়ার পর পর টেলিভিশন দেখতে বসবেন না। এমনকি মাত্র ১০ মিনিট ভবঘুরের মতো হাঁটলেও আপনার পাকস্থলী বায়ুশূন্য হয়ে যাবে। রাতের পাকস্থলীর ওপর চাপ দিয়ে কিংবা ডানদিকে কাত হেয় শুয়ে পড়–ন। এতে খাবার হজম হবে ভালোভাবে। পেটে গ্যাস জমবে না।
২. খাবারে পরিবর্তন আনুন
কেউ কেউ বাদামি চাল ও বার্লির স্যুপ খেয়ে উপকৃত হয়েছেন। পেঁপে ও আনারসে রয়েছে হজম করার এনজাইম তথা জৈবরস। এ ক্ষেত্রে তাই পেঁপে ও আনারস বেশ উপকারী। খাবার ভালো করে চিবিয়ে খান এবং খাবেন অল্প পরিমাণে। এরপরও যদি মনে করেন বেশি বেশি বায়ু পেটে ঢুকছে, তবে ডাক্তার ডাকুন। কোনো কোনো সময় অস্বাভাবিক বায়ু গিলে খাওয়ার (এয়ারোপেগিয়ার) সাথে পীড়ন ও উদ্বেগের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। তাই পীড়ন ও উদ্বেগ দমন করতে পারলে ঢেঁকুরও দমন হবে।
অ্যান্টিবায়োটিক
অপ্রয়োজনীয়ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক তথা জীবাণু-প্রতিরোধী ওষুধ না ব্যবহার করা আরো নতুন একটি কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে। একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, যখন-তখন প্রয়োজন-অপ্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করলে পেট বেদনার দু’টি মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে। রোগ দু’টি হচ্ছে Crohn's and ulcerative colitis|
৩ মিনিটের স্লিপ ম্যাসাজ
মাত্র তিন মিনিট আলতো করে পিঠে ম্যাসাজ করলে আপনি পেতে পারেন রাতের ভালো ঘুম। ‘জার্নাল অব হলিস্টিক নার্সিং’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, আলতো করে মাত্র তিন মিনিট যাদের পিঠ ম্যাসাজ করে দেয়া হয়েছে, রাতে তাদের ভালো ঘুম হয়েছে। ডিমেনশিয়া তথা চিত্তভ্রংশ রোগীদের বেলায় ম্যাসাজের এই সময় ৩৬ মিনিট পর্যন্ত বাড়াতে হবে।
সাধারণ ঘুমের ওষুধ এবং ডিমেনশিয়া
ডিমেনশিয়া একটি রোগের নাম। বাংলায় একে বলা হয় চিত্তভ্রংশ। এর ফলে রোগীর মধ্যে মানসিক শক্তির দুর্বলতা দেখা দেয় বেনজোড়ায় জেপিনস নামের একটি ওষুধ ব্যাপকভাবে চিকিৎসকেরা প্রেসক্রাইব করেন অঘুমা ও উদ্বেগ দূর করার লক্ষ্যে। কিন্তু এই ওষুধটি বয়স্ক রোগীদের মধ্যে ডিমেনশিয়া রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ফ্রান্সের ব্রডিয়স্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা তাদের গবেষণায় দেখতে পেয়েছেন, ৬৫ বছরের বেশি বয়সী যেসব রোগীর মধ্যে যারা এ ধরনের ওষুধ সেবন শুরু করেছেন, তাদের মধ্যে ১৫ বছরের মধ্যে ডিমেনশিয়া দেখা দেয়ার ঝুঁকি ৫০ শতাংশ বেড়ে যায়। এসব গবেষকেরাই এই ওষুধের ব্যাপারে প্রথম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তা নয়। এর আগের বেশ কয়েকটি সমীক্ষায়ও দেখা গেছে এসব ওষুধ নানা ধরনের শারীরিক ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। এসব ওষুধ স্বল্প সময়ের জন্য ব্যবহারের নির্দেশ থাকলেও অনেক রোগী বছরের পর বছর ঘুমের ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন। এখন চিকিৎসকদের উচিত এই সাধারণ ঘুমের ওষুধ বেনজোডায়াজেপিনস যাতে রোগীরা দীর্ঘ দিন ব্যবহার না করেন, সে ব্যাপারে তাদের সতর্ক করে দেয়া। তাদের বলে দেয়া দরকার এ ওষুধ কয়েক সপ্তাহের বেশি যেন কিছুতেই ব্যবহার করা না হয়।
0 comments:
Post a Comment