আহমেদ ইফতেখার
অ্যাপ্লিকেশনই অনেক ডেভেলপারের ধ্যানজ্ঞান। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন শিল্পের বিশাল আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেকে অ্যাপ ডেভেলপার হিসেবে প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছে দেশের তরুণেরা। স্মার্টফোন, ট্যাবলেটে ব্যবহার উপযোগী দেশীয় বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন তৈরির মহাযজ্ঞ চলছে। আর এই উদ্যোগকে কাজে লাগিয়ে দেশের অসংখ
্য তরুণ নির্মাতা আগামী দিনের অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। তারা চান তাদের অ্যাপ্লিকেশন থাকবে দেশের কোটি মানুষের হাতে হাতে। মানুষের মৌলিক নানা প্রয়োজন মেটাবে। স্মার্টফোনের ব্যবহার আমাদের দেশে অনেক বেড়েছে, বিশেষ করে তরুণদের কাছে। স্মার্টফোনে সবাই কমবেশি অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) ব্যবহার করছেন। ভালো খবর হচ্ছে, এই অ্যাপ নির্মাতার সংখ্যাও আমাদের দেশে দিন দিন বাড়ছে। অনেকেই অ্যাপ নির্মাণকে পেশা হিসেবে নিচ্ছেন এবং সেটা অবশ্যই একটা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। বিশ্বজুড়ে তৈরি হচ্ছে অ্যাপের বিশাল বাজার।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশব্যাপী চলছে জাতীয়পর্যায়ে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচি। এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে এমসিসি লিমিটেড এবং সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে ইএটিএল লিমিটেড। দেশের মোবাইল অ্যাপস নির্মাতা তৈরি করা এবং তাদের তৈরি অ্যাপ্লিকেশনের বাজার সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নেয়া কার্যক্রমের ইতোমধ্যে নয় মাস পূর্ণ হয়েছে। জাতীয়পর্যায়ে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় সনদপত্রপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ইতোমধ্যে দুই হাজার ছাড়িয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে সফল প্রশিক্ষণার্থীকে সনদপত্র দেয়া হচ্ছে, যা তারা ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন। ইতোমধ্যে ৬৩টি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে এবং এই প্রশিক্ষণগুলোতে ৫৪টি জেলার দুই হাজার ৪৪০ জনকে ছাত্রছাত্রীকে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। সাতটি বিভাগীয় পর্যায়ে অ্যাপস সেনসেটাইজেশন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শিবিরে তৃণমূল পর্যায়ে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন শিল্প নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সারা দেশে কমপক্ষে ১০০০ জন সফটওয়্যার ডেভেলপারের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে ধারণা দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ পর্যন্ত ছয়টি বুট ক্যাম্পে মোট তিন হাজার সাতজন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নিয়েছেন।
মোবাইলফোনের মাধ্যমে অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার ঘিরে তথ্যপ্রযুক্তির একটি নতুন ধরনের আন্তর্জাতিক বাজার তৈরি হওয়ায় নতুন আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ যেমন তৈরি হচ্ছে তেমনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গেম, সংবাদ, সোস্যাল মিডিয়া বা বিনোদনের জন্য নানা ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে শুধু মোবাইলকে ঘিরেই। নোকিয়া স্টোর, গুগল প্লে, উইন্ডোজ মার্কেট প্লেস, ব্ল্যাকবেরি ওয়ার্ল্ড, স্যামসাং স্টোর, আইফোনের অ্যাপস স্টোর ইত্যাদি বাজারগুলোর মাধ্যমে মোবাইল সফটওয়্যার ডাউনলোড করছে এ দেশের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা। এসব স্টোরে বাংলা ভাষার অ্যাপ্লিকেশনের সংখ্যা খুবই নগণ্য।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, ‘মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের বাজারে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি এবং এ শিল্পের সাথে জড়িত সবার আগ্রহ বাড়িয়ে বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনের বাজারে আমাদের তরুণেরা যাতে নেতৃত্ব দিতে পারে সে জন্য আমরা ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।’
স্থানীয় চাহিদার অ্যাপ্লিকেশন তৈরির প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপসচিব ও কর্মসূচি পরিচালক ড. মোহাম্মদ আবুল হাসান জানিয়েছেন, ‘সারা বিশ্বের বিভিন্ন মোবাইল সফটওয়্যার কোম্পানি, সফটওয়্যার প্রকৌশলী বা ব্যক্তিগতভাবে বানানো অ্যাপ্লিকেশন থেকে ডাউনলোডের সংখ্যা বছর শেষে প্রায় ৮১.৪ বিলিয়নে গিয়ে দাঁড়াবে। আগামী ২০১৬ সালে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের সরাসরি ডাউনলোড থেকে আয় হবে ২১.৭ বিলিয়ন ডলার। এ বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের বিশাল বাজারে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি এবং এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে মানবসম্পদের দক্ষতা বৃদ্ধি এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। এ ছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বাজারের সাথে তৃণমূলপর্যায়ের মোবাইল সফটওয়্যার নির্মাতাদের যোগসূত্র স্থাপন করাই আমাদের এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য।’
আর এই প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান এমসিসি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী এস এম আশ্রাফ আবির জানিয়েছেন, ‘এমসিসি দেশে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবার উদ্ভাবনী প্রকল্প সাফল্যের সাথে বাস্তবায়ন করেছে। এমসিসির তৈরি বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ আন্তর্জাতিক বাজার নোকিয়া স্টোর, গুগল প্লে, উইন্ডোজ মার্কেট প্লেস, ব্ল্যাকবেরি ওয়ার্ল্ড ও আইফোনের অ্যাপ স্টোরে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে। এমসিসি তার মোবাইল অ্যাপ কার্যক্রমের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সরকারের এই কার্যক্রম পরিচালনা এবং পরিচালনা সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। এই কর্মসূচির আওতায় একজন তরুণ নিজেকে ধাপে ধাপে একজন ডেভেলপার হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। জেলাপর্যায়ে টানা চল্লিশ ঘণ্টাব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্স শেষ করার পর একজন প্রশিক্ষণার্থী বিভাগীয় পর্যায়ে বুট ক্যাম্পে অংশ নিয়ে এক্সপার্টদের কাছ থেকে সমস্যার সমাধান নেয়ার পাশাপাশি নিজেকে আরো সমৃদ্ধ করতে পারবেন। এরপর জাতীয় হ্যাকাথন, অ্যাপ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার সুযোগ থাকছে। এভাবে প্রায় বছরব্যাপী নানা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে একজন তরুণ ডেভেলপার নিজের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাচ্ছেন।
ফেনী কম্পিউটার ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী নূর হোসেন ভুইয়া নিজের পরিকল্পনার কথা জানালেন। উদীয়মান অ্যাপ ডেভেলপারের তৈরি অ্যাপ্লিকেশন ‘বিডি হসপিটাল ইনফো’ এখন পাওয়া যাচ্ছে গুগল প্লে স্টোরে। তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ করে দিয়েছে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচি। তিনি জানান, ফেনীতে অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে এই অ্যাপটি বানাই। টানা চল্লিশ ঘণ্টার এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির শেষ দিনে এসে প্রাপ্ত জ্ঞান থেকে একটি অ্যাপ বানাতে হয়। ফেনীতে বসে বানানো আমার এই অ্যাপটিই সেখানে প্রথম স্থান অর্জন করে। ভবিষ্যতে জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজের অ্যাপ দিয়ে সেরার মুকুট অক্ষুণ রাখতে বিস্তর প্রস্তুতি নিচ্ছেন নূর হোসেন।
দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে তুলে ধরতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আখলাসুর রহমান ভুইয়া বানিয়েছেন ‘মুক্তিযোদ্ধাদের গল্প’, ধানমন্ডি টিউটোরিয়াল স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র ইসফার হাসান বানিয়েছেন ‘তাসবি’, ইউল্যাবের তানভির ইসলাম বানিয়েছেন ‘অল বাংলা নিউজপেপার’ অ্যাপ।
থ্রিজির আবির্ভাবে দেশে কনটেন্টের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নে উচ্চগতির ইন্টারনেট কাজে আসবে না যদি স্থানীয় কনটেন্ট মার্কেট তৈরি না হয়। তাই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের ক্রমবর্ধমান বাজারে দেশের তরুণ ডেভেলপারদের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে স্থানীয় কনটেন্ট মার্কেট তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত আগস্ট মাস থেকে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের জাতীয় প্রতিযোগিতা শুরু হবে এবং নভেম্বর মাসে এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রতিযোগিতা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়পর্যায়ের বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ছাড়া প্রশিক্ষণার্থীদের তৈরি করা অ্যাপগুলো আগামী আগস্ট মাস থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ শুরু হবে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে আইডিয়া উদ্ভাবন কর্মশালার মাধ্যমে সারা দেশে সরকারি এবং বেসরকারিপর্যায়ে কী ধরনের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের চাহিদা রয়েছে শুরুতেই সেটা নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সাথে বিভিন্ন উদ্ভাবনী এবং যুগোপযোগী চিন্তাগুলোও খুঁজে বের করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় এখন পর্যন্ত ১৩টি কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে যেখানে সরকারের ৪৫টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদফতর এবং বিভিন্ন ব্যাংক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৫২০ জন কর্মকর্তা, প্রোগ্রামার, আইসিটি ফোকাল পয়েন্ট অংশগ্রহণ করেন। এসব কর্মকর্তা দিনব্যাপী কর্মশালায় নিজস্ব ডোমেইনের ওপর মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন নির্মাণের জন্য ১৯৪টি স্বতন্ত্র ধারণা প্রদান করেন।
কর্মসূচির আওতায় যেসব আইডিয়া সংগ্রহ করা হয়েছিল সে আইডিয়া সঙ্কলন থেকে অ্যাপ্লিকেশন প্রস্তুত করার পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি দফতরের বিভিন্ন সেবার মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন প্রস্তুত করা হচ্ছে এবং এসব অ্যাপস ওয়েবসাইটে প্রকাশসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সব মোবাইল স্টোরে প্রকাশ করা হবে। এ অ্যাপগুলোর ভেতরে ১০০টি সরকারি এবং জনসাধারণের আগ্রহ রয়েছে এমন সেবা নিয়ে মোবাইল অ্যাপস প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ২৬টি অ্যাপ্লিকেশন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষপর্যায়ে রয়েছে এবং বাকি অ্যাপ্লিকেশনগুলোও নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। উল্লেখযোগ্য অ্যাপসের মধ্যে রয়েছে পাবলিক লাইব্রেরি, ট্যাক্স ক্যালকুলেটর, প্রাইজবন্ড, ই-জয়িতা, এফডিসি, জাতীয় জাদুঘর, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জাতীয় বাজেট, অফিসের ব্যায়াম, হাসপাতাল, ট্যুরিজম ইনফরমেশন, জন্মনিবন্ধন ভেরিফিকেশন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিদ্যুৎ বিল, প্রাইজবন্ডের ফলাফল, আর্কিলজিক্যাল সাইট, ন্যাশনাল মিউজিয়াম, হাসপাতালের তথ্য ইত্যাদি।
আপনিও বানাতে পারেন মোবাইল অ্যাপ
অ্যাপ বানানোর ক্ষেত্রে রয়েছে অপার সম্ভাবনা। মোবাইল অ্যাপ মূলত চারটি অপারেটিং সিস্টেম বা প্লাটফর্মের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয় আইওএস (আইফোন ও আইপ্যাডের জন্য), অ্যান্ড্রয়েড (স্যামসাং, সনি ইত্যাদি বেশির ভাগ স্মার্টফোনের জন্য), উইন্ডোজ ফোন (নকিয়া) ও ব্ল্যাকবেরি। এর মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসভিত্তিক অ্যাপের সংখ্যা বেশি।
আইওএস অ্যাপ বানানোর জন্য প্রোগ্রামিং ভাষা অবজেক্টিভ সি বা সুইফট ব্যবহার করতে হয়। অ্যান্ড্রয়েডের জন্য জাভা এবং উইন্ডোজের জন্য সি শার্প জানতে হবে। ব্ল্যাকবেরির জন্য সি++, অ্যান্ড্রয়েড রান-টাইম, এইচটিএমএল ৫ বা অ্যাডব এয়ার দিয়ে অ্যাপ করা যায়। এই প্রোগ্রামিং ভাষাগুলো যারা জানেন না, তারা ইন্টারনেট ঘেঁটে বা পরিচিত কারো কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন, খুব কঠিন কিছু নয়। আর যদি কোনো প্রোগ্রামিং ভাষা না জানা থাকে, তাহলে অবশ্যই সি দিয়ে শুরু করুন; লেগে থাকুন, শিখতে খুব বেশি দিন লাগবে না। সি++ শিখতে তামিম শাহরিয়ারের লেখা কম্পিউটার প্রোগ্রামিং (১ম খণ্ড) বইটি দেখতে পারেন।
আইওএসে কাজ করার জন্য একটা অ্যাপল কম্পিউটার লাগবে ম্যাকবুক, আইম্যাক বা ম্যাক মিনি। বাজেট কম হলে ম্যাক মিনি কিনতে পারেন। আইওএস প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করুন অ্যাপলের ডেভেলপার ওয়েবসাইট www.developer.apple.com থেকে, এখানে আপনি আইওএস শেখার যাবতীয় জিনিস পেয়ে যাবেন। আপনি অ্যাপলের গাইড অনুসরণ করতে পারেন, খুব সুন্দরভাবে গুছিয়ে সব কিছু লেখা আছে ওখানে। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনেক সহজভাবে ব্যাখ্যা করা টিউটোরিয়াল রয়েছে, সেসবের সাহায্যও নিতে পারেন। টিউটোরিয়াল পাওয়ার গুগলে OS tutorial লিখে খোঁজ করুন। বাংলা টিউটোরিয়ালের জন্য শিক্ষক ডট কমে (www.shikkhok.com) আইফোন অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট কোর্সের সাহায্য নিতে পারেন।
অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপ তৈরি করা যায় সব অপারেটিং সিস্টেমেই। শুরুটা করুন অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপার সাইট (developer.android.com) থেকে। ওখানে Get Started মেনু ধরে এগিয়ে যান। বাকিটা নিজেই বুঝে যাবেন। ট্রেনিং বলে একটা আলাদা বিভাগ আছে ডেভেলপার সাইটে, যা শুরু করার জন্য খুবই কার্যকরী। ওরেলির লার্নিং অ্যান্ড্রয়েড বইটা দেখতে পারেন। শিক্ষক ডট কমে বাংলা টিউটোরিয়ালও পাবেন।udacity.comঠিকানার ওয়েবসাইটে একটি চমৎকার অনলাইন কোর্স আছে, সেটিও দেখতে পারেন।
যারা ওয়েব প্রোগ্রামিং করছেন, তারা টাইটেনিয়াম, ফোনগ্যাপ ইত্যাদি দিয়ে অ্যাপ তৈরি করতে পারেন। উইন্ডোজ শেখার জন্যও উইন্ডোজ ডেভেলপার সাইট www.dev.windows.com ঘেঁটে দেখুন। আসল কথা হচ্ছে, সব ক’টি প্লাটফর্মের শুধু ডেভেলপার সাইটেই শেখা শুরু করার জন্য যথেষ্ট নির্দেশনা দেয়া আছে। আপনাকে শুধু ওগুলো অনুসরণ করতে হবে ধৈর্যের সাথে। আর সমস্যায় পড়লে গুগলের সাহায্য নিন।
0 comments:
Post a Comment