চা-কফি বেশি পান করার অভ্যাস বা ধূমপানের সাইড অফেক্স হিসাবে দাঁত হলদে হয়ে যাওয়া নতুন কিছু নয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেও দাঁত নিজস্ব রঙ হারায়। আবার অনেক সময় কোনও ওযুধের ব্যবহারের ফলেও দাঁত হলুদ হয়ে যাতে পারে। দাঁতের ফাঁকেও কালো ছোপ পড়তে পারে। চিকিত্সকের পরামর্শ তো নিতেই পারেন, তবে বাড়িতে বসেই এই ঘরোয়া টোটকাগুলি প্রয়োগ করে দেখতে পারেন। ভালো ফল পাবেনই।
১. বেকিং সোডা:
বেকিং সোডা শুধু ঝকঝকে করে না সঙ্গে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা প্লাক পরিষ্কার করতেও এর জুড়ি মেলা ভার। আধ চা চামচ বেকিং সোডা নিয়ে টুথপেস্টের সঙ্গে মিশিয়ে সপ্তাহে ২ বার সেটা দিয়ে ব্রাশ করুন। শুধু বেকিং সোডার সঙ্গে খানিকটা জল মিশিয়ে একটু ঘন করে আঙুল দিয়েও মাজতে পারেন সপ্তাহে ২ বার। দাঁত সাদাও থ
ঁত সাদাও থাকবে, সঙ্গে দাঁতের ফাঁকে ময়লাও জমবে না।
২. পাতি লেবু এবং কমলা লেবু:
পাতি লেবুর রসে ব্লিচিং এজেন্ট থাকে। ফলে দাঁত খুব ভালো পরিষ্কার হয় এতে। লেবুর খোসা ফেলে না দিয়ে তা বেটে বা গ্রাইন্ড করে সেটা দিয়ে দাঁত মাজতে পারেন। অথবা বাজারে লেমন পিল এক্সট্র্যাক্টও মেলে সহজে। সেটাও ব্যবহার করতে পারেন। খানিকটা পাতি লেবুর রসে একটু জল মিশিয়ে মুখ কুলি করলেও ফল পাবেন।
একই রকমভাবে কমলা লেবুর খোসা এবং বীজে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন সি থাকে যা মুখের ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে লড়ে। পাতি লেবুর মতো এর খোসা ও পিল এক্সট্র্যাক্ট দিয়ে দাঁত মাজলেও একই উপকার পাবেন।
৩. আপেল:
দিনে একটি আপেল খেলে শুধু ডাক্তারই দূরে থাকেন না, সঙ্গে দাঁতের হলুদ ভাবও দূরে থাকে। আপেল খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলবেন না। খানিক ক্ষণ অপেক্ষা করুন। এর মধ্যে থাকা ম্যালিক অ্যাসিড দাঁত পরিষ্কার রাখে।
৪. স্ট্রবেরি:
গুটি কতক স্ট্রবেরি নিয়ে পেস্ট বানিয়ে সপ্তাহে তিন দিন রাতে শোয়ার আগে দাঁত মাজুন। ২ সপ্তাহের মধ্যেই ফল বুঝতে পারবেন। একই রকমভাবে লবন দিয়েও দাঁত মাজতে পারেন। লবনও খুব ভালো দাঁত পরিষ্কার করে।
৫. তুলসি পাতা:
তুলসি পাতা বেটে পেস্ট বানিয়ে সপ্তাহে ৩ দিন দাঁত মাজুন। এটা দাঁত শুধু পরিষ্কারই রাখে না, মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও সাহায্য করে।
0 comments:
Post a Comment