WHAT'S NEW?
Loading...

দুরন্ত ক্রিকেটার 'স্ত্রী-ভাগ্যে' রিকশাচালক

 


কে বলতে পারে, তিনিই হয়তো হয়ে উঠতে পারতেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সতীর্থ। হতে পারতেন কোনও নামজাদা কোম্পানির দাপুটে ম্যানেজার। কিন্তু, ভাগ্যের নিষ্ঠুর পরিহাসে আজ তিনি কখনও ভিখারি, কখনও রিকশাচালক।


ক্রিকেটে অসীম প্রতিভাধর হয়েও, লন্ডন থেকে এমবিএ পাশ করেও, স্ত্রীভাগ্যে আজ মুকুটহীন সম্রাট বাদশা। ভালোবাসার কাঙাল বাদশার থেকে ছলে-বলে সবকিছু কেড়ে নিয়ে, তাঁকে কাঙালে পরিণত করেছেন তাঁর ভালোবাসার মানুষটি।


বাংলাদেশের পাবনা জেলার ছেলে মহম্মদ বাদশার বাবা ছিলেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি উত্‍‌সাহী বাদশা তাঁর দক্ষতার পরিচয় দিতে শুরু করেন স্কুলে পড়ার সময় থেকেই। পাবনা ও রাজশাহীতে চুটিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন এই উইকেটরক্ষক তথা দাপুটে ওপেনিং ব্যাটসম্য

ব্যাটসম্যান।


এরপর স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে তিনি লন্ডনে যান পড়াশোনা করতে। সেখান থেকে এমবিএ পাশ করে দেশে ফেরা, বিষয়-সম্পত্তি করা, তারপর ভালোবেসে বিয়ে। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল।



তাঁর জন্য যে এমন দিন অপেক্ষা করছে তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি বাদশা। স্ত্রী প্রতারণা করে বাদশার সমস্ত সম্পত্তি নিজের নামে করে নিয়ে, পথে বসিয়ে দেয় তাঁকে।


স্ত্রী, বিষয়-আশয় সবকিছু হারিয়ে পাগলের মতো হয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের এই যুবক। একটা সময় তাঁকে মসজিদে মসজিদে ভিক্ষা করতে দেখা যেত।


এখন বাদশা রিকশা চালান। সম্প্রতি এক তরুণ তাঁর রিকশায় উঠে গল্পে গল্পে জেনে ফেলেন তাঁর জীবন বৃত্তান্ত। বাদশার বক্তব্য ভিডিও করে ফেসবুকে পোস্ট করে দেন সেই তরুণ।


ভিডিওতে বাদশার মুখে রীতিমতো ব্রিটিশ উচ্চারণে ঝরঝরে ইংরেজি তাক লাগিয়ে দিয়েছে অনেককে।


 


ফেসবুকে বাদশার খবর জানতে পেরে, তাঁর এক সময়ের খেলার সঙ্গী মনজুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, 'স্কুলে আমার থেকে এক ব্যাচ সিনিয়র ছিলেন বাদশা ভাই।


দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলতেন। ফেসবুকে উনার এই করুণ পরিস্থিতি দেখে খারাপ লাগছে।'


সূত্র : এই সময়


 



 

0 comments:

Post a Comment