হিমালয়ের মাউন্ট এভারেস্টের নীচ দিয়ে টানেল বানাবে চীন। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে চীনের তিব্বতের সাথে নেপালের রেল সংযোগ স্থাপন করা। ইতোমধ্যে এই টানেল নির্মান নিয়ে নেপালের সাথে আলোচনা শুরু করেছে চীন। এই টানেল নির্মানের মধ্যদিয়ে বিশে^র অবকাঠামো নির্মান খাতে চীন আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে যাচ্ছে।
এই টানেল নির্মিত হলে বাংলাদেশ চীন ভারত ও মিয়ানমারের সাথে যে সড়ক নির্মানের পরিকল্পনা করছে তাতে নেপালকেও সংযুক্ত করা হতে পারে। চীন আশা করছে ২০২০ সালের মধ্যে নেপালের সাথে চীনের রেল সংযোগ স্থাপনের কাজ শেষ হবে।
বিশে^র একমাত্র হিন্দুরাষ্ট্র নেপালে চীনের প্রভাব দিন দিন বাড়ছে। এ নিয়ে ভারত খুবই উদ্বিগ্ন। নেপালে ভূমিকম্পের পর দ্রুততার সাথে চীন সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। ভূমিকম্পের
ূমিকম্পের ছয় ঘণ্টার মধ্যে চীন জরুরি টাস্কফোর্স গঠন করে। চীনা সেনা সদস্য ও সাহায্যকারীদের কাঠমান্ডু ও পাশর্^বর্তী এলাকায় পাঠানো হয়।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের উদ্ধারে নেপাল অনেকটাই চীনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। এ সময় তাইওয়ান ভূমিকম্পে উদ্ধার অভিযানে অংশগ্রহণ ও চিকিৎসাসামগ্রী দেয়ার আগ্রহ দেখালেও নেপাল সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে।
চীনের মনোভাবের কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয় নেপাল। চীন সীমান্তের কাছাকাছি এলাকাগুলোতে ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তা সত্ত্বেও ভারতের সেনাবাহিনীকে চীন সীমান্ত এলাকায় আকাশসীমা ব্যবহারে নেপাল নিষেধ করে।
অপর দিকে ভারতের উদ্ধারতৎপরতা ও সাহায্যর চেয়েও মিডিয়া ক্যাম্পেইন ছিল অনেক বেশি। নেপালের অনেক মানুষ এতে ছিল বিরক্ত। ভারতের গণমাধ্যমেও এ ধরনের কৌশলের সমালোচনা হয়েছে। বিশে^র একমাত্র হিন্দুরাষ্ট্র নেপালের বহু মানুষ ভারতের আধা ঔপনেবিশিক ও আধিপত্যবাদী নীতির কঠোর সমালোচক।
ভূমিকম্পের চীনের সহায়তাকে নেপালিরা যতটা স্বাগত জানিয়েছে ভারতের ব্যাপারে তাদের ছিল বিরক্তি। এ ছাড়া নেপালের অবকাঠামো নির্মাণে চীনের উপস্থিতি রয়েছে। এবার মানবিক সাহায্য অনেক নেপালি ছিল অভিভূত। ইতোমধ্যে নেপালে বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভারত ছিল ১ নম্বর দেশ। গত বছর ভারতকে পেছনে ফেলে চীন এখন প্রধান বিনিয়োগকারী।
0 comments:
Post a Comment