WHAT'S NEW?
Loading...

মায়ের সামনে কৃষ্ণাঙ্গ মানসিক রোগীকে গুলি করে মারল পুলিশ

 


মেহেদী হাসান



মায়ের সামনে একজন মানসিক রোগীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুজন পুলিশ অফিসার। নির্মম এ হত্যাকান্ডের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশের পর ডালাস পুলিশ বিভাগের প্রতি তীব্র ক্ষোভ এবং অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে সমাজে। নিহত ব্যক্তি একজন কৃষ্ণাঙ্গ।



an style="font-size: 14pt;">গত বছর ১৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে পুলিশ এ হত্যাকান্ড ঘটায়। সম্প্রতি এর ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে এবং নিহত মানসিক রোগীর মা অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।


নিহত লোকটির নাম হ্যারিসন। বয়স ৩৮। সে বাইপোলার এবং সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত। মাঝে মাঝে সে বেপরোয়া হয়ে যায়। সেকারনে তাকে নিয়ন্ত্রন করতে তার বৃদ্ধ মা পুলিশকে খবর দিল। দুজন পুলিশ অফিসার এসে দরজায় নক করল। হ্যারিসনের মা দরজা খুলে বাইরে বের হল। মায়ের সাথে সাথে হ্যারিসনও দরজায় এসে দাড়াল। তখন সে শান্ত। হাতে একটি স্ক্রু ড্রাইভার। সেটি সে নাড়ছিল মাত্র। পুলিশ তাকে ধমক দিয়ে আদেশ করল ‘ড্রপ ইট, ড্রপ ইট’।


কিন্তু হ্যারিসন তা ফেললনা। পুলিশ আর কোন দেরি করলনা। মুহুর্তেই গুলি চালাল হ্যারিসনের ওপর। একটি দুটি নয় পরপর পাঁচটি গুলি চালাল। হ্যারিসন মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। হ্যারিসনের মা চিৎকার করে ছেলের দিকে এগিয়ে গেল। কিন্তু ততক্ষনে সব শেষ। তার করার কিছু রইলনা।


হ্যারিসনের মা আফসোস করে জানান, আমি পুলিশ ডেকেছিলাম আমার ছেলেকে সাহায্য করার জন্য। কিন্তু তারা আমার ছেলেকে আমার চোখের সামনে গুল

ি করে মেরে ফেলল। তাকিয়ে দেখা ছাড়া আমার আর করার কিছু ছিলনা। আমি কিছু বুঝেও উঠতে পারলামনা। আমার চোখের সামনে যা ঘটল তা কেউ কোনদিন কল্পনাও করতে পারেনা। কিন্তু তাই হয়ে গেল।


পুলিশের দাবি তারা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছে। কিন্তু ভিডিও দৃশ্য ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সেটি যারা দেখেছে তারা কেউ পুলিশের এ দাবি মানতে পারছেনা। একজন লোক শান্ত হয়ে দরজায় দাড়িয়ে আছে। তার হাতে একটি স্ক্রু ড্রাইভার। পুলিশ তাকে দেখামাত্র ‘ড্রপ ইট’ বলে মুহুর্ত বিলম্ব না করে মেরে ফেলার জন্য গুলি চালাবে তা কোন অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায়না। তাও একটি গুলি হলে কথা ছিল, ৫টি গুলি করেছে। পুলিশ পায়ে গুলি করলেও মেনে নেয়া যেত কিন্তু পুলিশ আসলে তাকে মেরে ফেলার জন্যই গুলি করেছে।


বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞও এ ভিডিও বিষয়ে মতামত দিয়ে বলেছেন মানসিক রোগীকে কিভাবে মোকাবেলা করতে হয় তা না জেনে তাদের তা হ্যান্ডেল করতে যাওয়া ঠিক হয়নি। পুলিশ অফিসারের আচরন দেখে কোন অবস্থাতেই মনে হয়নি তারা মানসিক রোগীকে হ্যান্ডেল করা বিষয়ে ন্যূনতম কোন ধারণা রাখে। দরজা খোলার সাথে সাথে হাতে স্ক্রু ড্রাইভার থাকার ভয়ে একজন মানুষকে গুলি করে মেরে ফেলতে হবে এটা কোন অবস্থাতেই যুক্তিযুক্ত হতে পারেনা।


অভিযুক্ত দুজন পুলিশ অফিসারের নাম জন রজার্স এবং এন্ড্রু হাচিন। তাদের আইনজীবী লিভিংটন দাবি করছেন আত্মরক্ষার্থে তারা গুলি করেছে এবং স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে মানুষ মারার রেকর্ড রয়েছে।
কিন্তু এসব দাবি মানতে রাজি নন অনেকে।
ডালাস পুলিশ ঘটনার তদন্ত শেষে মামলাটি এখন জেলা অ্যাটর্নিজেনারেল কার্যালয়ে হস্তান্তর করেছে।



 

0 comments:

Post a Comment