WHAT'S NEW?
Loading...

দেশীয় চলচ্চিত্রের স্বার্থে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত

 



দেশীয় চলচ্চিত্রের সঙ্কটময় মুহূর্তে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের বাধা উপেক্ষা করে ২২ জানুয়ারি এ দেশে মুক্তি দেয়া হয় বলিউড মুভি ‘ওয়ান্টেড’। সালমান খান অভিনীত তুমুল জনপ্রিয় এ মুভি মুক্তির শুরুতেই যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে চলচ্চিত্র পরিচালক ও শিল্পী সমিতিসহ ২২টি সংগঠন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের উল্লেখজনক প্রেক্

ষাগৃহ থেকে নামিয়ে দেয়া হয়েছে ‘ওয়ান্টেড’। এ ব্যাপারে কথা হয় দেশীয় চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক ও শিল্পী সমিতির সভাপতি শাকিব খানের সাথে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সোহেল অটল


 


ভারতীয় ছবি আমদানি ও প্রদর্শনীতে এ দেশীয় চলচ্চিত্রের ক্ষতি কোথায়?
দেখুন, বলিউড মুভি গুণে-মানে আমাদের দেশীয় চলচ্চিত্রের চেয়ে এগিয়ে। এই মুহূর্তে সেসব ছবি যদি আমাদের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের জন্য উন্মুক্ত করা হয়, তাহলে আমাদের চলচ্চিত্র পিছিয়ে যাবে। এমনিতেই আমরা একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। এখন যদি ভারতীয় চলচ্চিত্র অবাধে প্রদর্শন হতে শুরু করে, সেটা আমাদের জন্য আত্মঘাতী হবে। দর্শক নিজেদের ছবি বাদ দিয়ে ভারতীয় ছবি দেখা শুরু করবে। ধ্বংস হয়ে যাবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি।



তাতে ভারতীয় ছবির দোষ কোথায়? আমরা কেন তাদের মতো চলচ্চিত্র বানাতে পারছি না?
হ্যাঁ, আমরা ভারতীয় ছবির মতো বানাতে পারছি না এটা সত্য। এই মুহূর্তে সেটা সম্ভবও নয়। ভারত ১২০ কোটি মানুষের দেশ। শত কোটি টাকার বাজেটে ছবি নির্মাণ করেও তারা অনায়াসে ব্যবসা করে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এত টাকা বিনিয়োগ করে ছবি বানানো সম্ভব নয়। কারণ, আমাদের বাজার ছোট। আর সীমিত বিনিয়োগে বলিউডের মুভির সাথে টেক্কা দেয়ার সামর্থ্য আমাদের ইন্ডাস্ট্রির নেই।



কলকাতার ইন্ডাস্ট্রি তো ঠিকই বলিউড মুভির সাথে টেক্কা দিয়ে টিকে আছে। আমরা কেন পারব না?
কলকাতার ইন্ডাস্ট্রি এখন এমন জায়গায় চলে গেছে, যেখান থেকে বলিউড মুভির সাথে প্রতিযোগিতা করা যায়। কিন্তু আমাদের আরো সময় লাগবে। আমাদের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। সুতরাং এই সময়ে কোনো অবাঞ্ছিত প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হলে আমরা পারব না।



হিসাবটা কি শুধুই ব্যবসার?
না, শুধুই ব্যবসার নয়। সংস্কৃতির ব্যাপারও আছে। ঐতিহ্যগতভাবে ভারতীয় সংস্কৃতির সাথে আমাদের মিল আছে। আবার আমাদের সংস্কৃতির একটা স্বতন্ত্রতাও সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং ভারতীয় ছবি আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে তাতে সন্দেহ নেই।
কিন্তু হলিউডের ছবিও তো বাংলাদেশে দেদার চলছে। তার বিরুদ্ধে তো আপনাদের অভিযোগ নেই...



হলিউডের ছবি পৃথিবীজুড়েই চলছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের দরকার নেই। কারণ হলিউডের মুভির ধরন আর আমাদের কিংবা বলিউডের মুভির ধরন একেবারেই আলাদা। হলিউড মুভি কখনোই আমাদের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির জন্য হুমকি নয়।



ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানির প্রক্রিয়া দীর্ঘ দিন ধরে চলছে। আপনারা এত দিন পর আন্দোলনে নামলেন কেন?
আন্দোলনটা বিচ্ছিন্নভাবে হচ্ছিল। নীতিনির্ধারক মহল থেকে বিভিন্ন সময় বলা হয়েছিল দেশীয় চলচ্চিত্রের জন্য হুমকি হয়ে ওঠে এমন পদক্ষেপ নেয়া হবে না। কিন্তু শেষমেশ বলিউড মুভির অবাধ প্রদর্শনে আমরা সেই হুমকি আঁচ করছিলাম। সে কারণেই এবার যুগপৎ আন্দোলন করছি। এ আন্দোলন করেই যাবো, যত দিন দেশীয় চলচ্চিত্রের ওপর হুমকি থাকবে।



অনেকেই মনে করছেন শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই আপনার আন্দোলনে নামা। আপনার কী মত?
দেখুন, আমি দু’বার শিল্পী সমিতির নির্বাচিত সভাপতি। এর আগে সভাপতি হওয়ার জন্য এমন আন্দোলন করতে হয়নি। ওসব নিন্দুকের অপপ্রচার। দেশীয় চলচ্চিত্র রক্ষার স্বার্থে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে আমি প্রস্তুত


 

0 comments:

Post a Comment