ভাজা খাবার ও হার্ট
ফ্রান্সে ভাজার প্রতি মানুষের দুর্বলতা আছে। চেষ্টা করুন সূর্যমুখি ফুলের তেলে ভাজার কাজ সারতে। ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা সমীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, সূর্যমুখি ফুলের তেল কিংবা জলপাইয়ের তেলে ভাজা অধিকতর স্বা
স্থ্যপ্রদ। সমীক্ষা -প্রণেতা রা স্পেনের ৪০ হাজারেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্কের পাকের পদ্ধতির ওপর জরিপ চালিয়ে দেখেছেন, সেখানে ভাজার কাজ সবচেয়ে বেশি চলে সূর্যমুখির ফুলের তেলে কিংবা জলপাইয়ের তেলে। এরা দেখেছেন, ভাজা খাবারের সাথে হৃদরোগের ঝুঁকির কোনো সম্পর্ক নেই। কিংবা অপরিণত বয়সে মৃত্যুর সম্পর্কও নেই এই ভাজা খাবারের সাথে।
অপর দিকে সাধারণত ভূমধ্যসাগরীয় এলাকার কিছু সমৃদ্ধ খাবারের সামান্য আংশিক সম্পর্ক থাকতে পারে হৃদরোগের এ অভিমত জার্মানির ইউনিভার্সিটি অব রিজেনবার্গের অধ্যাপক মাইকেল লিট্জাম্যানের। তিনি আরো বলেন, এই সমীক্ষা যে ধারণার প্রতি চ্যালেঞ্জ তা হলো : ‘সাধারণত ভাজা খাবার হার্টের জন্য ক্ষতিকর’।
বন্ধু যখন রোগী
আপনার বন্ধু যখন রোগী, তখন আপনি কিভাবে সাড়া দেবেন। যদি কোনো রোগীর সেবা-যতনের ভার আপনার ওপর পড়ে, তখন আপনি কী করবেন? নিশ্চয় চাইবেন তার ব্যথা থাকলে তা উপশম করতে, চাইবেন তাকে সান্ত্বনা দিতে যাতে করে তিনি আশাবাদী হতে পারেন। নিশ্চয় সাধারণ কোনো কথা বা বাক্য ব্যবহার করে আপনি তা পারবেন না।
আবার উল্টাপাল্টা শব্দ ব্যবহার হলে হিতে বিপরীত ফল দাঁড়াতে পারে। তাই দীর্ঘ দিন রোগশোকে ভুগছেন এমন কারো সামনে কী বলবেন এব কী কখনোই উচ্চারণ করবেন না, তারই পরামর্শ এখানে।
বলবেন না...
‘তোমাকে খুবই ভালো দেখাচ্ছে’এমনটি বলা উচিত নয়। হতে পারে আপনার এই বলা শ্রদ্ধাসূচক বা প্রশংসাসূচক বা সৌজন্যসূচক বা প্রীতিসূচক। তবে তা না বলে আপনি বরং বলতে পারেন এমন কিছু, যার অর্থ দাঁড়াতে পারে ‘আসলে আপনার রোগ হতে পারে না’। এমনটি বললে তার ব্যথার কথা তিনি ভুলে যেতে পারেন।
‘কমপক্ষে আপনাকে কাজ বন্ধ রাখতে হবে, এটাই ভালো’ দৈহিকভাবে কাজ করতে অক্ষম কোনো রোগীকে এমনটি বললে তিনি আরো বেশি হতাশ হয়ে পড়বেন। বিশেষ করে যেসব রোগী চিকিৎসার পেছনে প্রচুর অর্থ করছেন, তাদের হতাশার মাত্রা আরো বেড়ে যেতে পারে।
‘মানসিক চাপ থেকেই রোগ সৃষ্টি হয়। আপনি যদি ভাবনাহীন থাকেন, তবে আপনি তুলনামূলক ভালো থাকবেন’Ñএ ধরনের কথা না বলাই ভালো। কারণ, মানসিক চাপ মানুষের অসুস্থতাকে আরো বাড়িয়ে তোলে। এটি রোগের একমাত্র কারণ হয় খুব কম ক্ষেত্রেই। সম্ভবত রোগের কারণ হতে পারে জিনগত ও পরিবেশগত।
বলবেন...
‘আমি জানি না কী বলব, তবে আমি তোমার পাশে আছি’ আপনি সমস্যা দূর করতে পারবেন না। তবে আপনার স্বীকার করা ভালো, ‘আমি জানি না তুমি কী করবে, তবে তুমি সেরে না ওঠা পর্যন্ত আমি তোমার সাথে আছি। ’
‘যদি তুমি কাঁদতে চাও কাঁদো, আমার কাছে প্রচুর টিস্যু আছে’ কিছু কিছু চিকিৎসার সময় আবেগের একটা প্রভাব থাকে। রোগশোক পরিবারের লোকজনের ওপর মানসিক চাপও সৃষ্টি করে। সে জন্য প্রয়োজন এ পরিস্থিতিতে ভালো করে কেঁদে নেয়া। কিন্তু তার পরও আমাদের পাশে এমন অনেক লোক থাকে, যারা বলেন, ‘কেঁদো না’।
‘আমি দোকানে যাচ্ছি, তোমার জন্য কী আনব’ আপনি যখনই সামান্য সময়ের জন্য বাইরে যাবেন, তখন আগে থেকে আপনার অসুস্থ বন্ধুকে এ ধরনের কথা বলে জানাবেন, যাতে তিনি কিছু আনার জন্য আপনাক বলার সুযোগ পান। তার পছন্দমতো জিনিসপত্র পাওয়া একজন রোগীর জন্য উপকার বয়ে আনতে পারে।
মুনীর তৌসিফ
0 comments:
Post a Comment