মিয়ানমারের রাজধানী নে পি দোতে ব্রিফিংয়ে রাখাইন রাজ্যের এক মন্ত্রী বলেছেন বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক দূরবস্থার কারণে মানুষ অবৈধভাবে দেশান্তরিত হতে বাধ্য হচ্ছে। তার এ মন্তব্যের জের ধরে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে রাষ্ট্রদূত মিয়ো মিন্ট থানকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালায়। অবশ্য পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয় অানুষ্টানিকভাবে এ ব্যাপারে কিছু বলেনি।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে , “নে পি দোতে এক কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে রাখাইন রাজ্যের এক মন্ত্রী অযৌক্তিকভাবে বলেছেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক দূরবস্থার কারণে মানুষ অবৈধভাবে দেশান্তরিত হতে বাধ্য হচ্ছে। এ কারণে তাকে তলব করা হয়েছে।”
নে পি দোতে কর্তব্যরত কূটনীতিকদে
কূটনীতিকদের জন্য আয়োজিত ওই ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুফিউর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
এই মন্তব্যকে ‘মর্যাদাহানিকর’ এবং অপ্রতিবেশীসুলভ মনোভাব হিসেবে দেখছে ঢাকা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রদূতকে এই বার্তা দিয়েছে যে, এ ধরনের মন্তব্য অভিবাসন সঙ্কট নিরসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সমন্বিত প্রচেষ্টাকে বানচাল করে দিতে পারে।
মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিজেদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ায় শরণার্থী সমস্যা দুদেশের সম্পর্কের ‘কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মাতৃভূমি রাখাইনে জাতিগত সহিংসতার পর পালিয়ে আসা হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।
কিন্তু নৌকায় করে পাড়ি দেওয়া হাজার হাজার বর্মী ও বাংলাদেশিরা ভারত মহাসাগরে আটকে পড়ার পর এই সঙ্কট সমাধানে মিয়ানমারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, মিয়ানমারের জলসীমায় আটকেপড়াদের মধ্যে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া হাজার হাজার রোহিঙ্গা ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় অাশ্রয় নিয়েছে। 
0 comments:
Post a Comment