WHAT'S NEW?
Loading...

উদ্ধার অভিযান

সিমন বোড়া


সাংবাদিক হিসেবে মৃত্যুসহ অনেক ঘটনা কাভার করেছি। যুদ্ধ, সুনামি, ভূমিকম্প, দাবানল, খুন-দুঃখ-বেদনা। তবে ৩০ বছরেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে শিখেছি, যদিও স্বীকার করে নিচ্ছি যে, কোনো কোনো ঘটনা ছিল অন্যগুলোর চেয়ে সহজ।
আমি পেশাগত একটা আবরণ করায়ত্ত করেছি। কিন্তু তবুও অনেক সময় এমন কিছু ঘটে যায়, যার ফলে সে আবরণ ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে।


খবর এলো ১৬২ জন আরোহী নিয়ে এয়ারএশিয়ার কিউজেড-৮৫০১ ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া ও সিঙ্গাপুরের মাঝখানের কোনো একটি স্থানে রাডার থেকে হারিয়ে গেছে। দিনটি ছিল গত ২৮ ডিসেম্বর। আমি এবং চ্যানেল নাইনের ক্যামেরাম্যান ড্যান লোহ সাথে সাথে ছুটলাম : প্রথমে সিঙ্গাপুর, তারপ

র সুরাবায়া। পরে উদ্ধার অভিযান কেন্দ্রীভূত হলো বর্ণিও উপকূলে। আমরা পাঙ্গালান বানের ফ্লাইট ধরার জন্য লাইন দিলাম। ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সি (বাসারনাস) সেখান থেকেই উদ্ধারকাজের সমন্বয় করছিল।
আমরা হাসপাতালে গেলাম, যদি দুর্ঘটনাস্থল থেকে কোনো লাশ উদ্ধার করে সেখানে রাখা হয়ে থাকে। তারপর অগ্রগতি জানার জন্য হাসপাতালের বাইরে অবস্থান নিলাম। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সাইরেন শুনতে পেলাম।



সরকারি গাড়িবহরে স্থানীয় গভর্নর, স্থানীয় পুলিশপ্রধানকে নিয়ে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকার্যক্রমের (এসএআর) সমন্বয়কারী এয়ার ভাইস মার্শাল সুনারবুবু স্যান্দি আসছেন। তাকে মিডিয়া কনফারেন্সে একের পর এক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে দেখেছি। যেহেতু জানতাম, তিনি ইংরেজি জানেন, তাই কর্মকর্তারা যখন হাসপাতালের ভেতরে ঢুকছিলেন তখন আমি তার কাছে গিয়ে পরিচয় দিলাম। তিনি ছিলেন লম্বা। পদের সাথে মানানসই। দেখেই বোঝা যায়, তিনিই নেতা। তিনি সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হলেন। আমরা মূলত এই বিপর্যয়ের শিকার লোকদের প্রতি যে সৌজন্যতা ও সম্মান প্রদর্শন করা হবে, তা নিয়ে কথা বললাম। তারপর তিনি চলে গেলেন।



এর পরপরই আরো সাইরেন শুনলাম। দু’টি অ্যাম্বুলেন্সে করে ০০১ ও ০০২ নম্বর দেয়া দু’টি লাশ আনা হলো। সাগর থেকে লাশ দু’টি উদ্ধার করার পর ক্রমিক নম্বর দেয়া হয়েছে। পরের নিউজ বুলেটিনের জন্য আমি আর ড্যান আমাদের রিপোর্ট তৈরি করলাম।
পরদিন সকালে ইসকান্দার বিমানবন্দরে এসএআরের সদর দফতরে পৌঁছালাম। কালিমানতান উপকূলে উদ্ধার এলাকায় যাওয়ার ইচ্ছা ছিল আমাদের মধ্যে, যদিও স্বীকার করছি, সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল ক্ষীণ।



এসএআরের সদর দফতরে সুনারবুবু ততক্ষণে একটা মিটিং শুরু করে দিয়েছেন। চার্টের দিকে তাকাচ্ছিলেন, পাইলট আর সমন্বয়কারী

দের নির্দেশনা দিচ্ছিলেন। আমি এগোলাম, তিনি ইঙ্গিতে ডেকে আমাকে তার পাশে বসতে বললেন। সবশেষে তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘গুড মর্নিং।’
‘গুড মর্নিং স্যার,’ আমি জবাব দিলাম। ‘আমার একটা প্রশ্ন আছে।’
‘হ্যাঁ,’ তিনি তাগিদ দিলেন।
‘আপনারা যে কত পরিশ্রম করে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, তা নিয়ে একটা প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য আমার আর আমার ক্যামেরাম্যানের পক্ষে কি আপনাদের কোনো একটি টিমের সাথে ঘটনাস্থলে যাওয়া সম্ভব হবে?’
সুনারবুবু দূরের একটা জায়গা দেখালেন। সেখানে মিডিয়ার বিপুলসংখ্যক লোক উপস্থিত ছিলেন। তারাও অকুস্থলে যেতে আগ্রহী।
‘তাদের সবাই আপনার মতো আমাদের হেলিকপ্টারে যেতে চাইবে,’ তিনি হেসে বললেন। ‘হয়তো আগামীকাল।’
‘আমি বুঝি,’ জবাব দিলাম। ‘তবে আমিই কিন্তু যেতে চেয়েছি।’ তিনি হাসলেন। আমি অনেক আগেই জেনেছি, তুমি যদি না চাও, তবে পাবে না।



সুনারবুবু ইন্দোনেশিয়া ভাষায় তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের সাথে খুব তাড়াতাড়ি আলাপ করলেন। আলোচনার পর (যা আমি বুঝিনি) আমাকে তার ডেপুটিকে অনুসরণ করতে বলা হলো। আমরা পাশাপাশি হাঁটতে লাগলাম। তিনি এসএআরের একটি চপারের পাইলটদের সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দিলেন।
‘আমরা ৪৫ মিনিটের মধ্যে রওনা হবো,’ বললেন কো-পাইলট। ‘টারমাক থেকে বের হন।’
আমি মনে করেছিলাম, আমরা সামান্য দূরে সাগরে গিয়ে নৌবাহিনীর অনেক জাহাজ অনুসন্ধান কাজে নিয়োজিত থাকতে দেখব। হেলিকপ্টারে চড়ে বুঝতে পারলাম, পাইলট আর কো-পাইলটের আসন ছাড়া আর কোনো সিট নেই। আমাকে লাশ বহনের জন্য রাখা বস্তাগুলো দেখিয়ে দেয়া হলো। ড্যান মেঝেতে একটা জায়গা দখল করে নিলো।
এসএআরের আরো দুই সদস্য চপারে চড়লেন। তাদের একজন ছিলেন হেলমেট পরা, অপরজন, আমার সন্দেহ, স্পটার। আমরা দক্ষিণ দিকে ছুটে চললাম। প্রায় এক ঘণ্টা পর আমরা জাভা সাগরে পৌঁছলাম। সিটবেল্ট নেই, নিরাপত্তামূলক অন্য কোনো ব্যবস্থা নেই, কেবল লাইফ জ্যাকেট।



জানালা দিয়ে চোখ ফেলামাত্র আমার মনে হলো, এই ঢেউয়ের মধ্যে কোনো লাশ বা ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন। ড্যান মিশনে অংশ নেয়া ক্রুদের ছবি তোলার কাজে ব্যস্ত হয়ে রইল। আমার মনে হলো, বাড়ি ফেরার পথ ধরতে খুব বেশি দেরি হবে না। কিন্তু সবকিছু সেভাবে হলো না।
একেবারে হঠাৎ করেই স্পটার ও হেলমেট পরা ক্রুম্যান প্রবলবেগে ওঠে দাঁড়াল, তারা আমাদের এক দিকে সরে যেতে বলল, পাশের জানালা খুলে দিলো। বাতাসের গর্জন আর তোড় উভয়টাই ছিল অবিশ্বাস্য।
আমরা কি এমন কাজ করতে যাচ্ছি, যা আমি ভেবেছিলাম, আমরা করতে যাচ্ছি?



আমরা সাগর কেটে চলতে থাকা ইন্দোনেশিয়া নৌবাহিনীর একটি জাহাজকে চক্কর দিচ্ছিলাম। আমরা তিনবার চক্কর দিয়ে নামতে থাকলাম। পেছনের ডেকে আমি একটি কালো বান্ডিল দেখতে পেলাম। আকার ও অবয়ব আমাকে জানান দিলো, আমরা এই বিপর্যয়ের শিকার একজনকে সংগ্রহ করতে যাচ্ছি। পুলি নিচু করা হলো, চপারের ক্রু লাশ-ব্যাগসহ একটি নেট নামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হতে লাগল। কিছু কারণে এটা হেলিকপ্টারের নিচে বাধা পাচ্ছিল। আমি কয়েক মুহূর্ত ইতস্তত করলাম, তারপর সাহায্যের হাত বাড়ালাম। অনেক কষ্ট করে আমরা নেটটি ডেকে পাঠানোর চেষ্টায় থাকলাম। আমরা জাহাজটি চক্কর দিলাম, আবার পুলি নিচু করার চেষ্টা হলো, নেটটি আবার বাধা পেল। এবার আমরা চারজনই হাত লাগালাম। আমরা সবাই চপার থেকে ঝুঁকে কাজটি করতে লাগলাম। আমাদের কারোরই নিরাপত্তামূলক কোনো ব্যবস্থা ছিল না।



আমি তখন চিন্তা করতে লাগলাম, আমাদের এ কাজ ছেড়ে দেয়া উচিত। জাহাজটিরই বরং লাশটি ফেরত আনার চেষ্টা করা দরকার।
জানালা দিয়ে আমি দুই নাবিককে দেখলাম। আমরা ডেকে অবতরণ করলাম, এই কাজটাও ছিল বিপজ্জনক। পিচ্ছিল, প্রচণ্ড ঢেউ আর প্রবল বাতাসে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। কিন্তু কেউই তা নিয়ে চিন্তা করতে রাজি ছিল না।
জাহাজের ক্রু লাশ-ব্যাগটি হেলিকপ্টারে তুলে দিলো। তারপর তুলল একটা ক্যাবিন লাগেজ, একটি নারীদের চামড়ার হাতব্যাগ। সেটা জানার আগেই আমরা যাত্রা শুরু করে দিলাম।
হেলমেট পরা ক্রুম্যান তার মুখে একটা কাপড়ের মাস্ক পরে নিলেন, বড় করে শ্বাস ফেললেন। তার চোখে পানি দেখা গেল। আমি আমার মাস্কটা ড্যানকে দিয়েছিলাম। ফলে লাশ থেকে আসা দুর্গন্ধে হেলিকপ্টার ভরে গেলেও সেটা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারছিলাম না। এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে আমরা তীরের দিকে ছুটলাম।
এটা ছিল দূরতম যাত্রা। ৫০ নটিক্যাল মাইল (৯৩ কিলোমিটার) চলার পথে কেউ একটা কথা পর্যন্ত বলেনি। অনেক চিন্তা ঘুরপাক খেয়েছে। এয়ারএশিয়া দুর্ঘটনার শিকার এক ব্যক্তি আমার পা থেকে মাত্র কয়েক সেন্টিমিটার দূরে লাশ-ব্যাগে রয়েছে। আমি জিপারের দিকে তাকিয়ে আকাশ-কুসুম কল্পনা করতে লাগলাম। সে কে হতে পারে? নারী না পুরুষ? দুর্ঘটনা ঘটার পর পাঁচ দিন পার হয়ে গেছে। ফলে লাশটির কী হাল হয়েছে তা চিন্তা করতে চাইলাম না। আকারের কারণে মনে হলো, এটা হয়তো কোনো শিশুর লাশ।



পরের ৪০ মিনিট একের পর এক প্রশ্ন আমার মাথায় আসতে লাগল। আমার মনে হলো, চপারের ক্রু এই কাজ আগেও করেছেন, তাই তিনি ব্যাগটির দিকে না তাকানোর মনস্থির করে ফেলেছিলেন।
আর কিছু করার না থাকায় আমি কেবল ক্যাবিন লাগেজটার দিকেই চোখ ফেলতে লাগলাম। একটা ছোট ধূসর ওভারনাইটার, সাথে সবুজ চাকা। আমারও একই আকারের একটা আছে। সন্দেহ নেই, এতে পোশাক আর টয়লেট্রিজ রয়েছে, ঠিক যেমন ভ্রমণের সময় আমারটায় থাকে। তবে এটা ভেজা, এখনো এতে পরিচিতিসূচক কিছু নেই। প্যাক করার সময় যেমন ছিল, এখনো তেমনই আছে।
হাতব্যাগটাও ক্যাবিন লাগেজের মতো ভেজা, তবে এতে কোনো কাটা-ছেঁড়ার কোনো চিহ্ন নেই। চামড়ার এই ব্যাগটা আমার স্ত্রী কিংবা মেয়েরও হতে পারত। আচ্ছা এটা কি লাশ-ব্যাগে থাকা মানুষটার? আমি বুঝতে পারলাম, এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা কম। তিনটি সামগ্রীই জাভা সাগরে ভাসতে থাকা অবস্থায় পাওয়া গেছে। আচ্ছা হাতব্যাগটায় কী আছে? পার্স? পারিবারিক ছবি? হেয়ারব্রাশ? একগুচ্ছ চাবি?
মৃত্যু-ঘটনার অনেক কাহিনী আমি কাভার করেছি। এ ধরনের পরিস্থিতিতে কাজ করা সহজ নয়। আমি নিজেকে শক্ত করলাম। কিন্তু কোনো কারণে বারবার আমার চোখ হাতব্যাগটার দিকে ফিরে যাচ্ছিল। এর মালিক যিনি, তার কাছে এর আইটেমগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু এখন তিনি মৃত।



এই চিন্তাটা আমাকে লাশ-ব্যাগটার চেয়েও বেশি তাড়া করতে ফিরতে লাগল।
আমি ড্যানের দিক তাকালাম। সে চপারের মেঝের দিকে তাকিয়ে ছিল। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, সে ঠিক আছে কি না, সে মাথা নাড়ল। আমি নিজের অবস্থা নিয়ে নিশ্চিত ছিলাম না।
আমি যে পরিস্থিতির মুখে পড়েছি, তা বোঝানোর কোনো বিকল্প পথ ছিল না। আমি ট্রমায় ভুগছিলাম।
আমরা এখানে এসেছিলাম, খবর সংগ্রহের ভূমিকা পালন করতে, হঠাৎ করে নিজেদের উদ্ধার অভিযানে সম্পৃক্ত করে ফেলেছি। ক্রু যখন লাশটি চপারে তুলতে চেষ্টা করছিল, তখন আমি নিজেকে প্রশ্ন করেছি, আমি কি সাহায্য করব? এটা কি আমার কাজ? কিন্তু কয়েক মুহূর্ত পর আমি ঠিকই যথাযথ কাজটি করেছি।



এই মুহূর্তটির আগ পর্যন্ত আমার ৩০ বছরের রিপোর্টিং জীবনে আমি সবসময় ট্রামাটিক ঘটনাগুলো দূরে রাখতে পেরেছিলাম। এমনকি এশিয়ান সুনামি কিংবা পূর্ব তিমুরের সঙ্ঘাতে লাশের স্তূপ দেখেও। এখনকার মতো পরিস্থিতিতে কখনো পড়িনি। আমি ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে পড়লাম। কূলের দিকে ফেরার জন্য আর কোনো কিছু করার ছিল না।
আমরা প্রবল মওসুমি বৃষ্টিপাতের মধ্যে নামলাম। ড্যান আর আমি দেখলাম, লাশ-ব্যাগটি দ্রুত অস্থায়ী লাশঘরে নিয়ে যাওয়া হলো। চামড়ার হাতব্যাগ আর ক্যাবিন লাগেজটা পরীক্ষা করল ডিসিস্টর ভিক্টিম আইডেনটিফিকেশন (ডিভিআই) টিম।
ওই রাতে সিডনিতে থাকা প্রডিউসার ওয়েজ হার্ডম্যানের সহায়তায় টুকরো টুকরো কাহিনীগুলোকে একসাথে করলাম। আমার কোনো লেখাই এমন ছিল না। এটা কোনো নিউজ ইভেন্ট ছিল না, বরং আমার জীবনের ঘটনা ছিল। আমার হৃদয় থেকে কথাগুলো বের হচ্ছিল। পরের দিন সিডনি থেকে বাড়ি রওনা হলাম।



আমি এক মাস ছোটাছুটি করে কাটালাম। যে জিনিসগুলো উদ্ধার করেছি, সেগুলো কার তা বের করার চেষ্টা করলাম। আমি জানি না, কেন এই কাজটি করার চেষ্টা করলাম। হয়তো সাংবাদিক বলে কিংবা আমার মাথায় যেসব প্রশ্ন ঘুরপাক খেয়েছিল, সেগুলোর জবাব পেতে।
ড্যান ছাড়াও স্থানীয় বায়ু স্যানদানি ভাগিনো নামের এক চমৎকার লোকের সাহায্য নিলাম।
আমরা যেদিন লাশটি উদ্ধার করেছিলাম, সেই নববর্ষের দিন থেকে শুরু করলাম। পেয়েও গেলাম। লাশটির নম্বর ছিল-০০৯।
এই তথ্য নিয়ে আমরা ডিভিআই অফিসে গেলাম। সেখানে গিয়ে আমরা জানতে পারলাম, ০০৯-এ থাকা লাশটির নাম মাটিনাস জিমি। তিনি ছিলেন ২৭ বছর বয়স্ক ব্যবসায়ী। বিমানে তার সাথে ছিলেন তার সন্তান-সম্ভবা স্ত্রী রিয়া রাতনা সারি এবং তাদের দুই বছরের মেয়ে কেলি।
গুগলের সাহায্য নিলাম। সাথে সাথেই হাস্যোজ্জ্বল এক তরুণের ছবি ভেসে এলো। তার সুন্দরী স্ত্রীর ছবিও পাওয়া গেল। নির্মম দুর্ঘটনাটি একটি সুখী পরিবারকে পুরোপুরি মুছে দিয়েছে।
এই বিমানটি কত পরিবারের স্বপ্ন শেষ করে দিয়েছে কে জানে।
এখনো ভাবি, ওই হাতব্যাগ আর ক্যাবিন লাগেজটি কার ছিল? মনে হয় না, আমার সেটা জানার দরকার আছে!
বিমানটিতে নিহত সবাই এখন দূরের মানুষ হয়ে গেছে।



(রিডার্স ডাইজেস্ট অবলম্বনে অনুবাদ : মোহাম্মদ হাসান শরীফ)


 

0 comments:

Post a Comment