ফজলুর রহমান বাবু। যিনি দর্শকদের হৃদয়ে রাজত্ব করছেন নিখুঁত অভিনয় দিয়ে। দেশ, বিদেশ যেখানেই বাংলাদেশী দর্শক, বাবু নামটি খুব জনপ্রিয়। গত মাসে প্রবাসী দর্শকদের আমন্ত্রণে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। দেশে ফিরে আবার ব্যস্ত হয়ে পরেছেন অভিনয় নিয়ে। গুণী এই অভিনেতার সাথে কথা বলেছেন আলমগীর কবির
কেম
ন আছেন, অভিনয়ে ব্যস্ততা কেমন?
-ভালো, সামনে ঈদ, ব্যস্ততা কেমন বুঝতেই পারছেন।
ঈদের নাটকে শুটিং শুরু হয়েছে কবে?
-শুরু করেছি। তবে ধারাবাহিক নাটকের ব্যস্ততার কারণে সংখ্যা তেমন বাড়াতে পারছি না। কয়েক দিন আগে সাইদুর রাসেলের ‘ইয়েস কার্ড’ নাটকের শুটিং করেছি। নাটকটি রচনা করেছেন বৃন্দাবন দাস। এতে আমার সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী ও শাহনাজ খুশি। এ ছাড়া কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছি যেগুলোর নাম এখনো ঠিক হয়নি।
মোহর আলী নামে একটি ধারাবাহিকে অভিনয়ের কথা ছিল...
-এই নাটকটির শুটিং শেষ হয়েছে। কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের গল্প অবলম্বনে ধারাবাহিকটির নাম রাখা হয়েছে। আমি এর নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছি। ভারতীয় একটি টিম নাটকটিতে কাজ করেছে। ওদের টিম ওয়ার্ক আমার কাছে ভালো লেগেছে। নাটকটি চ্যানেল আইতে প্রচার হবে।
এই নাটকে আপনার চরিত্র নিয়ে বলুন
-আমার চরিত্রটির নাম মোহর আলি। আমি একজন কবিরাজ। সমাজ সংস্করণ এবং কুসংস্কার দূরীকরণে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। এ ছাড়া ধারাবাহিকটিতে মোহর আলির পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। দীর্ঘ দিন পর মনের মতো একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি।
আপনার অস্ট্রেলিয়া সফর কেমন হলো?
-সফর ভালো হয়েছে। সেখানকার বাঙালি সংগঠন ‘প্রতিবিম্ব’র আয়োজনে একটি অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেছি। অস্ট্রেলিয়ায় ১৫ দিন ছিলাম। প্রবাসীদের বিনোদন জোগাতে আমি প্রায়ই বিভিন্ন দেশে পারফর্ম করতে যাই। কারণ আমি মনে করি, দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতে প্রবাসীদের অবদান অনেক। প্রবাসীদের সামনে পারফর্ম করলে কখনো মনেই হয় না যে, দেশের বাইরে রয়েছি। তারা হইচই করে রীতিমতো পুরো অনুষ্ঠান মাতিয়ে তোলেন। আমার কাছে মনে হচ্ছে, প্রবাসীরা দেশে না থাকলেও মাতৃভূমির প্রতি তাদের গভীর টান রয়েছে।
আপনার সঙ্গীতচর্চা কেমন চলছে?
-আমি মূলত গানের শিল্পী নই। বেশ কিছু গান বিভিন্ন মিক্সড অ্যালবাম এবং নাটকে জনপ্রিয় হওয়ার ফলে অনেকে গানের নিয়মিত শিল্পী ভাবেন। আমি হৃদয় দিয়ে গান গাওয়ার চেষ্টা করি। এজন্য হয়তো শ্রোতারা পছন্দ করে। এই মুহূর্তে কোনো অ্যালবামে বা নাটকে গান করছি না। তবে চর্চা চলে নিয়মিত।
অভিনয় তো করছেন অনেক দিন নাটক পরিচালনার ইচ্ছে?
-এই বিষয়টি নিয়ে এখন কিছু ভাবছি না। পরিচালনার বিষয়টি কঠিন। আলাদা করে ভাবতে হয়। তাই এই মুহূর্তে পরিচালনায় আসার ইচ্ছে নেই। এখন অভিনয় নিয়ে আছি এটা নিয়েই থাকতে চাই। এক সাথে বেশি দিকে বিচরণ করলে মূল জায়গা থেকে বিচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
মঞ্চে উপস্থিতি কম কেন?
-মঞ্চে আমার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। কারণ একজন মানুষের পে দুই জায়গায় সমানভাবে থাকা সম্ভব নয়। শুটিং নিয়ে সারা দিন এত ব্যস্ত থাকি মঞ্চে থাকব কখন। তবে মঞ্চ আমার শেখর। সেখানে পৌঁছতে না পড়ার বেদনা সব সময় মনের মধ্যে থাকে।
আপনি দিনে কত ঘণ্টা শুটিং করেন?
- এখন ১৩ থেকে ১৪ ঘণ্টা নাটকে শুটিং করতে হয়। পরিবারকেও ঠিকমতো সময় দিতে পারি না এখন। ভাগ্য ভালো আমার দুই মেয়ে ও বউ (কাজী রোকসানা আক্তার) এ ব্যাপারগুলো সহজভাবে নেয়। আসলে ওদের সহযোগিতার কারণেই অভিনয়ে এত বেশি জড়িত হতে পারি।
0 comments:
Post a Comment