WHAT'S NEW?
Loading...

দিনে মাত্র ছয় থেকে আট গ্লাস পানি

 


 


দিনে কমপক্ষে ছয় থেকে আট গ্লাস পানি পানের অভ্যাস গড়ে তুলে আপনি নিশ্চিত করতে পারেন সুস্থ দেহ সুস্থ মন। আর একেই বলে ‘ওয়াটার হেলথ’। পানি আপনার শরীর থেকে যাবতীয় বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ বের করে দেবে। স্বাভাবিক রাখবে শ্বাস-প্রশ্বাস। সেই প্রাগৈতিহাসিক সময় থেকে মহিলারা প

ানিকে জেনে আসছে বিউটি এইড নামে।


একটা কথা আছে : ‘দ্য বেস্ট অব অল কসমেটিকস আর ক্লিন ওয়াটার অ্যান্ড অ্যা টয়লেট সোপ’। সে জন্যই হেলথ কেয়ার স্পেশালিস্টেরা বরাবর পানি ব্যবহার করতে পরামর্শ দিয়ে আসছেন বিউটি এইড হিসেবে।


আজকের দিনে লাইফস্টাইল ও এইজ ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্টরা সুনির্দিষ্ট করে বলছেন : শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ও শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক রাখতে, শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান বের করে দিতে সর্বোপরি সুস্থ দেহ সুস্থ মন পেতে চাইলে প্রতিদিন পান করুন ছয় থেকে আট গ্লাস পানি। তারা আমাদের জানিয়ে দিচ্ছেন, আমাদের শরীরের তিন ভাগের দুই ভাগই পানি দিয়ে গঠিত। আর শরীরের ডিহাইড্রেশন তথা পানিশূন্যতা দূর করতে পান করা চাই প্রচুর পানি। পানিশূন্যতা হলে ধ্বংস হয়ে যায় দেহকোষ।



আয়ুর্বেদী চিকিৎসকেরা আমাদের সেবন করতে বলেন জালা কুঞ্জল (Jala Kunjal) । এটি সেবনের অর্থ হচ্ছে আমরা পান করছি লবণ-মেশানো ঈষদুষ্ণ পানি। সকালবেলা খালি পেটে এই জালা কুঞ্জল পড়লে তা স্বাস্থ্যের জন্য নিশ্চিত উপকার বয়ে আনবে। আয়ুর্বেদীরা দাবি করেন, এই জালা কুঞ্জল দূর করে ডিসপেপসিয়া, বদহজম, হাইপারঅ্যাসিডিটি, খাদ্যের বিষাক্ততা, শ্বাসকষ্ট এবং চামড়া ও রক্ত সমস্যা। ‘উষা পান্না চিকিৎসা’ নামে এক ধরনের চিকিৎসার কথা শোনা যায়।


এতে বলা হয়, সকালবেলা ঘুম ভেঙে চোখ খোলার পরই আপনি পান করুন দেড় লিটার পানি। এই চিকিৎসা সর্বোত্তম হয়, যদি পানিটা আগে থেকেই জমা রাখা হয় তামার জগে। এই অভ্যাস গড়ে তুললে মুটিয়ে যাওয়ার যেমন ভয় নেই, তেমনি ভয় নেই ঠাণ্ডা লাগা বা সর্দি-কাশি হওয়ার।



পানি পানের উপকার বলে শেষ করা যায় না। পানি পান বাড়াবে হজম ক্ষমতা। কমাবে বদহজমের মাত্রা। রক্ত সঞ্চালন করবে স্বাভাবিক। দূর হবে শ্বাস-প্রশ্বাসের অস্বাভাবিকতা। পানিশূন্যতার অভাব দূর করে দেহকোষগুলোকে করে তোলে কার্যকর। পেশিশক্তি সবল রাখে। কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি দূর করে। মেদ-ভুঁড়ি রাখবে স্বাভাবিক। হবে না ঠাণ্ডা-কাশি। দেহবল বাড়িয়ে তুলবে।


শরীরের বিভিন্ন সংযোগস্থলের বাত-ব্যথা দূর করবে। ওজন কমাতে চাইলে খাওয়ার আগে দুই গ্লাস পানি খাওয়া এক উত্তম হাতিয়ার।


 


শিশুদের সেলফোন ব্যবহার ক্ষতিকর?
সেলফোন ব্যবহারের সময় এ থেকে এক ধরনের রশ্মির বিকিরণ ঘটে। যেকোনো ধরনের বিকিরণ শিশুদের কোষকে সহজেই বিভাজিত করে। আর শিশুর মগজের এলাকায় এই কোষ বিভাজন আরো ব্যাপক। সে জন্যই শিশুদের সেলফোন ব্যবহার করতে দেয়া উচিত নয় বলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের অভিমত। তবে এ নিয়ে বিতর্ক অবশ্য রয়েই গেছে। কারণ এখনো নিশ্চিত প্রমাণ মেলেনি যে, সেলফোনের নন-আয়োনাইজিং রেডিয়েশন ক্ষতিকর।



সে জন্য বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা মোবাইলকে 'possibly calcinogenic' বলে বর্ণনা করছে। অতএব এখন বিজ্ঞানীদের পরম দায়িত্ব হচ্ছে, নিশ্চিত প্রমাণ হাজির করা সেলফোন ব্যবহার আমাদের জন্য, বিশেষ করে শিশুদের জন্য ক্ষতিকর না নিরাপদ।


তবে এটুকু নিশ্চিত সেলফোন থেকে আসা বিকিরণ যদি মানুষের জন্য ক্ষতিকর হয়ে থাকে, তবে শিশুদের বেলায় এ ক্ষতিটা হবে সবচেয়ে বেশি।কারণ এক দিকে শিশুদের মাথার খুলি বড়দের খুলির তুলনায় পাতলা এবং যেকোনো বিকিরণ শিশুদের মগজের কোষকে সহজেই বিভাজিত করতে পারে।


 


 


 

0 comments:

Post a Comment